সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দৌলতখানে তিন বছর ধরে পিতার লালসার শিকার মেয়ে !
দৌলতখানে তিন বছর ধরে পিতার লালসার শিকার মেয়ে !
মনিরুজ্জামান মহিন, দৌলতখান প্রতিনিধি: একটি সংসারে একজন মেয়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং আস্থাভাজনই হচ্ছে তার বাবা। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এই দৃশ্য বিদ্যমান। কিন্তু সেই বাবার কাছেই যখন মেয়ের ইজ্জতের নিরাপত্তা থাকেনা তখন ঘোর অন্ধকার নেমে আসে ঐ মেয়ের জীবনে। হা এরকমই ঘটনার জম্মদিয়েছে দৌলতখান পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিলন। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। হলুদ, মরিচ বিক্রেতা। ৬ কন্যা সন্তানের জনক। তার বড় মেয়েই আজকের ভিকটিম। স্থানীয় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। এই মেয়ের বাবা মিলন দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তার কু-লালসা মিটিয়ে যাচ্ছেন নিজেরই ঐরসজাত কন্যার উপর। ছোট্র দেহটি থেকে একে একে ৩ বার ঘটানো হয়েছে গর্ভপাত। আগের দুই বারের ঘটনা বাড়ির চৌকাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার বেড়িয়ে এসেছে অমানুষ মিলনের ঘৃণ্য কাহিনী। গত শনিবার সকালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরে ভিকটিম। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে বাড়ির লোকজনের। মিলন মেয়েকে নিয়ে দ্রুত বেড়িয়ে পরে এ্যবারশন করাতে। প্রথমে দৌলতখান ও পরে ভোলা সদরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় সে। এরপর আর বাড়ি ফিরেনি মিলন ও তার মেয়ে। সোমবার স্থানীয় জনতা খায়েরহাট বাজার থেকে মিলনকে আটক করে প্রথমে এলাকায় ও পরে পুলিশে সোর্পদ করে। এদিকে গত শনিবার থেকেই নিখোজ রয়েছে ভিকটিম ও তার মা। সোমবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
মিলনের ২য় মেয়ে ছাকিনা আদর্শ একাডেমীর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , আমার বাবা এর আগেও ২ বার এমন ঘটনার জম্ম দিয়েছে। এমনকি আমাকেও লালসার শিকার বানাতে চেয়েছিল। তখন আমি ঢাকা গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
লম্পট মিলনের প্রতিবেশী শাহানাজ বেগম বলেন, মেয়েটি তার বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রায়ই আমাদের কাছে এসে কান্না-কাটি করত। অসহায়ের মত দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমাদের।
মিলনের বড় বোন পারুল বেগম তার লাম্পট্যের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা পারিবারিক ভাবে অনেক শাসন করেছি। কোন কিছুই কাজে আসেনি।
অপরদিকে সোমবার বিকালে শতাধিক এলাকাবাসী দৌলতখান থানার গেটে অবস্থান নিয়ে মিলনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
এব্যাপারে দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা মিলনকে আটক করলেও এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।