সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » শশীভূষণে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাঁধ নির্মাণ করায় পানিবন্দী ১০ হাজার মানুষ, অনাবাদী হয়ে পরছে হাজার হেক্টর জমি
শশীভূষণে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাঁধ নির্মাণ করায় পানিবন্দী ১০ হাজার মানুষ, অনাবাদী হয়ে পরছে হাজার হেক্টর জমি
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে পানি নিস্কাসনের খালে বাঁধ সহ অবৈধ ভাবে জমিতে বাধঁ দেওয়ার কারণে দুটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার বাসিন্দা সহ প্রায় ১ হাজার একর জমি পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে জমিতে পানি বদ্ধ থাকায় অনাবাদী থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া জোড় পূর্বক জমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ না করে খামার এম, জে, সি নামক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১০ দিনের মধ্যে কারণ দশার্নোর নির্দেশ দিলেও বিবাদী কোন জবাব না দিয়ে মাটি কাটার (ভেকু) মেশিনে তরিৎ গতিতে কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে জমির মালিক ও বাদী নুর মোহাম্মদ রিয়াজ, রুহুল আমিন, হিরন বেগম অভিযোগ করেন।
আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ১৩৫/ ২০১৬ তারিখ ৪/৫/২০১৬ সুত্রে জানা যায়, এম, জে, সি এগ্রো লিমিটেড নামক নাম সবর্স্ব একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার আশায় আলমগীর পাটওয়ারী, সেলিম চৌধুরী, ও এম জে সি লিঃ এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদী হাসান চর কলমী ইউনিয়নের উত্তর চর মঙ্গল এলাকার ৬ একর ১২ শতাংশ জমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে জোর পুর্বক মাটি কাটার চেষ্টা করে। বাদী পক্ষ স্থাণীয় চরকলমী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারমানের নিকট বিবাদীদের বিরুদ্ধে তাদের ৩০/৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমির ব্যাপারে নালিশ দায়ের করেন। চেয়ারম্যানের নিকট বিচার চাওয়ার কারনে প্রভাবশালীদের (উপমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান) নাম ও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তির সহযোগিতায় জমির মাটি কেটে খালে বাধ দেওয়ার কাজ চালু রেখেছে।
চর মঙ্গল এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফযেজ আহম্মদ জানান, জোর পূর্বক জমির মাটি কাটা সহ খালে বাধঁ দিলে ২ ওয়ার্ডের বাসিন্দা পানিবন্দী হওয়া সহ প্রায় হাজার একর জমি অনাবাদের আশংকা রয়েছে।
চরকলমী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবাদী জমির মাটি না কাটার জন্য এম জে সি লি: এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদী হাসানকে নিষেধ করা হলোও তিনি কর্নপাত করছেন না।
এ ব্যাপারে এম জে সি লিঃ এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদি হাসান’র সাথে কথা বলার জন্য তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী কার্যালয় গিয়ে ও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।