শনিবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » মনপুরায় অপহৃত মাঝিকে মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার
মনপুরায় অপহৃত মাঝিকে মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার
মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরার মেঘনা থেকে জলদস্যূ আলাউদ্দিনসহ ৩ জলদস্যূ বাহিনী কর্তৃক অপহৃত রাকিব মাঝিকে মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। টাকা পেয়ে জলদস্যুরা রাকিব মাঝিকে শনিবার ভোর রাতে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন চর পিয়ালে রেখে যায়। পরে অপহৃত মাঝি চরপিয়াল থেকে একটি ছোট দাড়ের নৌকায় করে মনপুরার ভেইজা আসেন। সকাল ৮টায় তিনি সাকুচিয়া থেকে মটর সাইকেলে বাড়ীতে আসেন। অপহরণের ৩৪ ঘন্টা পর অপহৃত মাঝি উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উদ্ধার রাকিব মাঝি বলেন, ইলিশ ধরা অবস্থায় ২৫ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হাতিয়ার জলদস্যু স¤্রাট আলাউদ্দিন বাহিনী আবারও জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে ট্রলারসহ রাকিব মাঝিকে ধরে নিয়ে যায়। হাতিয়া উপজেলার গাইছসা চরে নামক স্থানে জিম্মি করে মারধর করেন। কোস্ট গার্ডের অভিযানের কথা জানতে পেরে আমাকে ঐরাতেই অন্য একটি চরে নিয়ে যায়। আমাকে মারধর করে পরিবারের কাছে মুক্তিপনের ২লক্ষ টাকা দাবী করেন জলদস্যুরা। মুক্তিপনের টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভয়ে ও আতংকে আমি আড়তদার ও পরিবারের কাছে মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার জন্য বলি। আমার মোবাইল খুলে জলদস্যুরা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন। অবশেষে দরকষাকষি করে আড়তদার ও পরিবার ৩০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হয়। অবশেষে মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা জলদস্যুদের দেওয়া বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো হলে তারা আমাকে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া সংলগ্ন চরপিয়াল শনিবার ভোর রাতে রেখে যায়। আমি চর থেকে ছোট একটি দাড়ের নৌকা দিয়ে মনপুরায় চলে আসি।
এব্যাপারে রামনেওয়াজ ঘাটের মতস্য আড়তদার মোমিন মিয়া বলেন, পরিবারের কান্নাকাটিতে রাকিব মাঝির মোবাইালে জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ করে মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা জলদস্যুদের দেওয়া বিকাশ এজেন্টে টাকা পাঠানোর পর তারা আমার জেলেকে মুক্তি দিয়েছে। কোস্ট গার্ডের অভিযান অভিযান করলেও তারা অপহৃত মাইঝকে উদ্ধার করতে পারেনি। জেলেরা এখন নদীতে মাছ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা। ভয়ে ও আঙ্ককে আছেন জেলে ও জেলেপরিবারের লোকজন। এছাড়া সোহরাব মাঝির মাছ ধরা ট্রলারটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ড প্রধান লেঃ কমান্ডার ওমর ফারুক বলেন,আমারা ঘটনা শুনার সাথে সাথে অপহৃত মাঝি ও সোহরাব মাঝির জালসহ ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের উদ্ধার অভিযানের কথা জলদস্যুরা জানতে পেরে জলদস্যুরা এলাকায় ছেড়ে অন এলাকায় আত্মগোপন করেছেন। তবে মেঘনায় আমাদের জলদস্যুদের ধরার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমএসইউ/এফএইচ