চরফ্যাশনে ট্রিপল হত্যা মামলায় শ্রমিকলীগের ৫ নেতাকে আটক করায় থানায় হামলা,পুলিশ সহ আহত- ৩০

 
আদিত্য জাহিদ :: ভোলার চরফ্যাশনে ট্রিপল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম বাতান ও ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। এর জের ধরে রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় থানায় হামলা ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের করেছে তাদের সমথর্করা। এঘটনায় পুলিশ সহ অন্তত্য ৩০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছেন। জানা যায়, বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে চরফ্যাশন থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম বাতান, তার শ্যালক ফারুক, সাইদ, ভাতিজা মঞ্জু বাতান ও শরীফকে আটক করে। এঘটনার  জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় কাশেম বাতানের স্বজন ও সমর্থকরা চরফ্যাশন থানায় হামলা করে। পরে সদর  রোডে বিভিন্ন স্থানে  টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় চরফ্যাশন টু ভোলা আভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে লালমোহন, চরফ্যাশন, দক্ষিণ আইচা ও শশীভূষণ থানা পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এক ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় ১০ পুলিশসহ অন্তত্য ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কাশেম বাতানের বড় ভাই জিন্নাগড় ইউপি সদস্য কাজল বাতানকে চরফ্যাশন হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ  করা হয়। এব্যাপারে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে উপ-মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে জমি দখল, চাঁদাবাজী, চুরি-ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ গুলো যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। চরফ্যাশন থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পলিশ পরিদর্শক বিল্লাল জানান, সকাল বেলা কাশেম বাতানের বড়ভাই কাজল বাতানের নেতৃত্বে মিছিলসহকারে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও হামলা চালায়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ  সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।