শনিবার ● ৩০ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরায় মাছের ঝুঁড়ি নাটকীয়তা
মনপুরায় মাছের ঝুঁড়ি নাটকীয়তা
মনপুরা প্রতিনিধি :: মনপুরায় মৎস্য ব্যবসায়ীর মাছের ঝুঁড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাতিয়ার কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ১১ টায় রামনেওয়াজ ঘাট থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কোস্টগার্ড ২ ঝুঁড়ি মাছ ট্রলারে করে হাতিয়া নিয়ে যায়। এ মাছ নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ও কোস্টগার্ডের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী মমিন ও নোমান বিকেল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোস্টগার্ড মাছ আটক করে স্থানীয় মৎস্য অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহতি করবেন। কিন্তু কোস্টগার্ড তাদেরকে অবহিত না করে মাছের ঝুঁড়ি ২টি হাতিয়া নিয়ে যায়। এব্যাপারে হাতিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার লে. রাশেদ জানান, ২টি ছোট পাংগাসের ঝুঁড়ি আটক করেছি। ঝুঁড়িতে ইলিশ মাছ ছিলনা। মনপুরায় ঝুঁড়ি ২ টা নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, কোস্টগার্ড নিয়ে যাওয়া ২ ঝুঁড়ি মাছ নিয়ে হাতিয়া থেকে রওয়ানা হয়েছে। মাছ দেখে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টায় হাতিয়ার কোস্টগার্ডের একটি টিম নোমান ও মমিনের ৩৪০ পিচ ইলিশ, বড় পাংগাস ৪০৭ কেজি, বড় চিংড়ি ১৫ কেজি, পোয়া ১০০ কেজি, বোয়াল ৫০ কেজি সহ অন্যান্য মাছের ২ ঝুঁড়ি মাছ উপজেলা মৎস্য অফিসার ও নির্বাহী অফিসারকে অবহিত না করে হাতিয়ায় নিয়ে যায়। দিনভর ২ ঝুঁড়ি মাছ নিয়ে কোস্টগার্ডের নাটকীয়তার পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় হাতিয়া কোস্টগার্ড কমান্ডার লে.রাশেদে সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হেলাল, ওসি হানিফ সিকদার, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার, ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে বৈঠকে মিলিত হন। পরে আটকৃত ২ ঝুড়ি মাছ খোলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলোও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এগুলো তাদের মাছ নয়। হাতিয়া আমাদের মাছ বিক্রি করে অন্য মাছ নিয়ে এসেছে। হাতিয়া কোস্টগার্ডের ফেরত দেওয়া মাছ রবিবার গরিবদের মাঝে বিতরন করা হবে বলে জানান উপজেলা এরশাদ হোসেন খান। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।