শুক্রবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী: আতঙ্কে নারীরা
চরফ্যাশনে ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী: আতঙ্কে নারীরা
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড ও ২নং ওয়ার্ডের সীমান্ত দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের এখন ক্রাইমজোন এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত এক সাপ্তাহ ধরে চলছে এলাকার বাসা বাড়িতে হাত-পা বেধেঁ চুরি ডাকাতি ও নারী নির্যাতন। আলোচিত ফোর মাডারের পর থেকেই ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এঘটনায় কয়েকটি পরিবার এলাকাও ছেড়েছেন। ডাকাত চক্রের হুমকীর ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে নারাজ রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার পৌর কাউন্সির সম্ভাব্য প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানান, গত এক সাপ্তাহের মধ্যে পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ফ্যাশন কালিয়া কান্দি এলাকার আ. রহিম পাটওয়ারী বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে লিমন (২২), হাছনাইন (২৯) কে বেঁেধ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও নারী নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। কবিরাজ বাড়ির নুরে আলম কবিরাজ (৪৫) স্ত্রী ফরিদা খাতুন, মা হনুফা খাতুনকে বেঁেধ ঘরের সকল মালামাল নিয়ে যায় ডাকতের দল। আলমগীর (৪০) কে বেঁেধ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়। গত মঙ্গলবার আ.মজিদ নামক (৪০) কে বেধেঁ রাস্তার পাশে কবরস্থানে ফেলে রেখে যায়। শাজাহান ফরাজী ও তার মা আফরোজা খাতুন (৬০)কে বেঁেধ ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আবুল হোসেন দেওয়ান বাড়ীতে প্রবেশ করে দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
গত বছর ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের শ্রমীকলীগ নেতা জাকির হোসেন (৪০), আলাউদ্দিন (৩৫), লিটন (৩২) ও মহিম আলী গাজী (৭০) কে রাতের আধাঁরে কুপিয়ে হত্যা করেছে ডাকাত চক্র। ওই সময় থেকেই ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে তারা চোর ডাকাতি হওয়ার পর কাউর কাছে বলতেও রাজী হয়না। কারণ, ডাকাত চক্র তাদেরকে হাত-পা বেধেঁ টাকা, স্বর্ণাংকার ও নারী নির্যাতন করে হুমকী দিয়ে যায়, থানায় বা কাউকে বললে তোদের অবস্থা খারাপ হবে। দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের এই সকল চোর-ডাকাতের ভয়ে আলগীর হোসেন তার পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। একই এলাকার নুরে আলম কবিরাজও পরিবারসহ এলাকা ছাড়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে। পৌর সভা ৯নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রাথী মিজানুর রহমান মঞ্জু জানান, ওই এলাকার মানুষ এখন খুবই আতঙ্কর মধ্যে রয়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খোলতে চায়না। স্থানীয় নুরে আলম কবিরাজ জানান, এলাকায় আমার বাড়ি দু‘বার চুরিয়ে হয়েছে মান সম্মানের ভয়ে বর্তমানে আমি অন্য বাড়ীতে বাস করি (৯জানুয়ারী) ঢাকায় স্বপরিবারে চলে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছি।
এব্যাপারে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গাজী সাইদুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই এলাকায় নিয়মিত পুলিশের টহল থাকবে।