মঙ্গলবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশন বাজারে ভেজাল খাদ্যে সয়লাব
চরফ্যাশন বাজারে ভেজাল খাদ্যে সয়লাব
আদিত্য জাহিদ• কোরবানী ঈদকে টার্গেট করে বিএসটিআই’র অনুমোদন বিহীন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চানাচুর, বিস্কুট, চাটনি, লিচু, জুস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর রং, মিশিয়ে শিশু খাদ্য উৎপাদন করে নামীদামী কোম্পাণীর লেভেল ব্যবহার করে বাজারজাত করছে। চরফ্যাশন সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কনফেকশনারী, ছোট ছোট মুদি দোকান, চায়ের দোকানে এসব ক্ষতিকর পণ্য সিংহভাগ জায়গা দখল করেছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, উপজেলার ৩ টি থানার আওতায় প্রায় অর্ধশতাধিক কনফেকশনারী,২০টির মত চানাচুর কারখানা, রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই বিএসটিআই’র অনুনমোদিত। শিবা চৌমুহনী এলাকার ভাই ভাই চানাচুর কারখানায় অন্য এলাকার বিএসটিআই’র অনুমোদিত শাবনুর চানাচুর লেভেল লাগিয়ে বাজারজাত করছে।
চরফ্যাশন পৌর শহরের দাদা চানাচুর ও মনেক্কার বিপরীতে দক্ষিণ আইচার করিম পাড়ার একটি দোকানে হুবহু লেভেল লাগিয়ে দাদা-নাতী নামে বাজারজাত করে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের মাধ্যমে শিশুদের হাতে ভোক্তা হিসেবে পৌছিয়ে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। দুই ভাই চানাচুর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই মাঠ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম পরিদর্শণকালে সেজান ও এসিএল কোম্পানীর প্যাকেটে নিজেদের তৈরি চাটনি প্যাকেট করার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এসব ছোট ছোট কারখানা গুলোতে নেই কোন কেমিকেল মান নিয়ন্ত্রক ( কেমিষ্ট)। যার ফলে তারা নিজেদের মত চানাচুর, চাটনি, পাইপজুস, আচার তৈরি করে বাজার জাত করছে।
ডা. মাহাবুব কবির জানান, রং মেশানো এসব খাবার গুলো মানবদেহের কিডনির উপর মারাতœক প্রভাব ফেলে কিডনির কার্যকারিতাকে বিকল করে দেয়।