মঙ্গলবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষার ও “শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর”এ রূপান্তরের দাবীতে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপি
মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষার ও “শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর”এ রূপান্তরের দাবীতে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপি
আদিল হোসেন তপু• মেঘনার ভাঙ্গনের হাত থেকে ভোলার ইলিশা ও রাজাপুরকে রক্ষার দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইলিশাবাসী। ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন কর্মসূচী। এরই অংশ হিসাবে ইলিশা, রাজাপুর ও ভোলা বাচ্াঁও সংগ্রাম কমিটির আন্দোলনের ৫ দিনে জেলা প্রশাসক কার্যলয় অবস্থান কর্মসূচীও স্বারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকার শতাধিক লোকজন তারা জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে অবস্থান নেয়। জেলা প্রশাসক এর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করে।
এসময় তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ না নেয়া হলে পাউবো কার্যালয় ঘেরাওসহ আরো বৃহত্তর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন এলাকাবাসী।এসময় তারা ভাঙনরোধে দ্রুত সিসি ব্লক ফেলার দাবী জানান।
উল্লেখ্য, রোজার ঈদের আগের দিন হঠাৎ করেই ভয়ংকর রুপর ধারন করে ভোলার মেঘনা। এতে ইলিশা ও রাজাপুরের ২ হাজার ঘরবাড়ি, ৫ কিলোমিটার বিস্তীর্ন জনপদ, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, নতুন ও পুরাতন ফেরীঘাট, দুটি মৎস্য আড়ৎ, দুটি গুচ্ছ গ্রাম, দুটি লঞ্চঘাটসহ গুরুপ্তপূর্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে প্রথমে জিউ ব্যাগ ও পওে জিও টিউব ডাম্পিং করেও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অপর দিকে দেশের জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ শিশু। এই শিশুদের আগামী দিনে ভবিষৎতের সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই শিশুদের বিনোদন সহ শিশুর অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে “শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর”এ রূপান্তরের দাবিতে ভোলায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমানের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় শিশু টাস্কফোর্স এর ভোলা জেলা কমিটির সদস্য বৃন্দরা। সম্প্রতি তারা জেলা প্রশাসকের কার্যলয় গিয়ে এই স্বারকলিপি প্রদান করে। স্বারকলিপিতে বলা হয়, শিশু একাডেমী শিশুদের প্রানের প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি জেলায় শিশুদের কে তৈরি করার জন্য নিবিড় তত্ত্বাবধানে, কার্যকর দিক-নির্দেশনার আলোকে জেলা পর্যায়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমাদের কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অকৃত্রিম সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে আমাদের নিবিড় সমন্বয় ও আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখানে শিশুবান্ধব পরিবেশ অতুলনীয়।
বর্তমান শিশুবান্ধব গণতান্ত্রিক সরকার শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর গঠন করতে যাচ্ছেন। এ সংবাদটি দেশের প্রায় ৪৮ শতাংশ শিশুদের জন্য কি যে আনন্দের ও গৌরবের তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটি বাস্তবায়িত হলে আমরা মনে করি শিশু অধিকার বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশা হলো বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে ‘শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরকরণ।এমন অবস্থায় জাতীয় সম্পদ সুরক্ষা ও শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে ‘শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরকরণের দাবিতে মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হলো।
স্বারকলিপিটি গ্রহন করে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, শিশুদের দেয়া এই স্বারকলিপিটি অতি দ্রুত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি শিশুদের আশ্বস্ত করেন। এসময় শিশুদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন জেলা এনসিটিএফ সভাপতি জহির রাইহান, সাধারন সম্পাদক নুসরাত জাহান অহনা,সহ-সভাপতি অপসরা হক,যুগ্ন-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আকাশ,সাংগঠনিক সম্পাদক তুর্জ হাওলাদার,চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য বর্ষা,শিশু সাংবাদিক হুমায়রা হোসেন শারা,শিশু গবষেক ইমরান চৌধুরী,জেলা ভলেন্টিয়ার (মেয়ে) আছমা আক্তার,আদিল হোসেন তপু সহ আরো অনেকে।