শনিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাই আহত
ভোলায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাই আহত
স্টাফ রিপোর্টার • ভোলা পৌর দুই নং ওয়ার্ড শাহাবুদ্দিন মিয়ার মসজিদ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় আবুল কাশেম (৫৫), দুলাল (৫০) ও লিটন (৪৫) তিন ভাই গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদের মধ্যে আবুল কাশেমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে শাহাবুদ্দিন মিয়ার মসজিদ এলাকার আব্দুর রহমান বেপারি বাড়ির এজমালি পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুত্রপাত। হামলাকারীদের একজন নুরনবী সকালে ওই পুকুরে মাছ ধরছিল। এ সময় পুকুরের শরিকদার লিটনের শিশুপুত্র প্রথম শ্রেণির ছাত্র তালহা এসে বলে, আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে জাল মারছেন কেন? এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিটন শিশু তালহাকে চড় থাপ্পর মারে। এ সময় তালহার চাচা কাশেম লিটনকে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহারি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর মাহাবুবুর রশিদ পলাশকে জানালে তিনি জুমা’র নামাজের পরে উভয় পক্ষের কথা শুনে একটি ফয়সালা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তার আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে রতন ও তার দুই ছেলে মনির এবং নুরনবী লাঠিসোটা নিয়ে কাশেম ও তার দুই ভাই লিটন এবং দুলালের উপর হামলা করে। এতে কাশেমের মাথায়, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। বিশেষ করে তার দুই চোখই নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন। এ ছাড়া অচেতন অবস্থায় দুলাল ও লিটনকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
এ ব্যপারে ওই এলাকার কাউন্সিলর পলাশ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বেধেছিল এবং তিনি মিমাংশা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু রতন ও তার ছেলেরা অন্যায়ভাবে কাশেম, লিটন আর দুলালকে গুরুতর আহত করেছে। তিনি আরও জানান, আহতদেরকে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নেয়া যাবে।