

সোমবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে চোরাই হাঁস দিয়ে ইউপি সদস্যর ভুড়িভোজ
চরফ্যাশনে চোরাই হাঁস দিয়ে ইউপি সদস্যর ভুড়িভোজ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের গৃহস্থের হাঁস চুরি করে ভুড়িভোঁজ খেলেন ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদার ও তার কর্মীরা। রবিবার রাতে প্রতিবেশী বেল্লাল মুন্সির ৭টি হাঁস চুরি হয়ে যায়।
রাতেই গৃহস্থ বেলাল মুন্সি একই গ্রামের প্রতিবেশী টকবি বাড়িতে হাঁস পাটির আয়োজন দেখে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদারকে) খবর দিলে চৌকিদার আড়াঁল থেকে ইউপি সদস্য নিরবসহ অপর কর্মীদের হাঁস চুরির খোশগল্প শুনতে পেয়ে ঘরে প্রবেশ করেন।
এসময় ইউপি সদস্যসহ সবাই চোরাই হাঁসের মাংস খাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। গ্রাম পুলিশ হাঁস খাওয়ার ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারন করতে গেলে ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদার ও হেলাল, সবুজ, রুহুল আমিন খন্দকার সটকে পরলেও কালু ফকির নামের একজনকে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আটক করে। পরে তিনি হাঁস চুরির সত্যতা স্বীকার করেন।
বেল্লাল মুন্সি জানান, তার ৭টি হাঁস চুরি হয়ে যায়। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ করতে থাকেন। গভীর রাতে প্রতিবেশী টকবি বাড়িতে হাঁস খাওয়ার আয়োজন দেখে তিনি সন্দেহ বশত স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জামাল বকসীকে খবর দেন। স্থানীয়দের নিয়ে গ্রাম পুলিশ জামাল এসে ওই বাড়িতে হানা দিয়ে রান্না করা হাঁসের মাংসসহ চোর চক্রকে আটকের চেষ্টা করলে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও কালু ফকিরকেআটক করে চকিদারের জিম্মায় নেন।
গ্রাম পুলিশ জামাল বকসী বলেন, হাঁসের মালিক বেল্লাল মুনসি খবর দিলে তিনি ওই বাড়িতে যান। ঘরে প্রবেশের আগেই আড়াল থেকে ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদারসহ সকলে হাঁস চুরির গল্প করতে শুনেন।
ইউপিসদস্য নিরব হাওলাদার জানান, হাঁসগুলো চোরাই কিনা তা আমার জানা ছিলোনা। তারা আমাকে দাওয়াত করলে আমি খেতে গিয়েছি। পরে জানতে পারি চুরির ঘটনা।
আবদুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান জানান, গ্রাম পুলিশ জামাল বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি এলাকায় না থাকার কারনে ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি।
-আমির/রাজ