শুক্রবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় ভোরে গুদাম থেকে সরকারি গম পাচার! পাল্টা পাল্টি অভিযোগ
ভোলায় ভোরে গুদাম থেকে সরকারি গম পাচার! পাল্টা পাল্টি অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে কাকডাকা ভোরে সরকারি গম পাচারের ঘটনা ঘটেছে। চলছে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ। এ নিয়ে স্থানিয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য দেন দরবার করার চেষ্টা করছেন উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল মিয়া। তিনি বলছেন, সংবাদ প্রকাশ করে আমার কিছু করতে পারবেন না। আমিও ভোলার ছেলে, বাড়ি আমার বোরহানউদ্দিনে, আমার বড় ভাই একটা মনপুরার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা। আমাদের হাত অনেক লম্বা। এই আমলে চাকুরি নিছি, বুঝতেইতো পারছেন।
ঘটনার সুত্র থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে গোডাউনের ভিতরে একটি ব্যাটারী চালিত বোরাক প্রবেশ করা নিয়ে স্থানিয়দের মাঝে কৌতুহল দেখা দেয়। সকাল ৮ টার সময় বোরাকটি সরকারি গম বোঝাই করে গোডাউনের গেট থেকে বের হয়ে সদর রাস্তায় উঠার পরে স্থানিয়রা বোরক চালকের কাছে জানতে চান কিসের গম। বোরাক চালক বলেন, উত্তর জয়নগর তালতলি গ্রামের রিয়াজের, রিয়াজ তজুমুদ্দিন খাদ্য গুদামে পিয়নের চাকুরি করছেন। কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি চালক।
কোন বৈধ কাগজ ছাড়া সরকারি গুদামের গম বের হওয়ার নিয়ম আছে কিনা সাংবাদিকরা জানকে চায় দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল মিয়ার কাছে। সোহেল মিয়া বলেন, বৈধ কাগজ আছে, এটা ফায়ার সার্ভিসের গম। বৈধ কাগজ দিতে ভুলে গেছি।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলছেন, এই গম আমার নয়, আমার গম রিয়াজের কাছে বিক্রি করছি। সরকারি গম বিক্রি করা যায় কিনা জানতে চাইলে বলেন, সবাই জানে।(ওপেন সিক্রেট)
তজুমুদ্দিন খাদ্য গুদামের পিয়ন রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অশিকার করে বলছেন, আমার বিরুদ্ধে স্বরষন্ত্র। আমি কোন গমের ব্যাবসা করিনা। গমের ব্যাবসা করে ভোলা গোডাউনের সোহেল।
ভোলা গুদাম কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক , আশা করি সামনের দিকে এমন হবেনা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর বলেন, এমন কোন ঘটনার সুত্রপাত ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব।
-এইচএমএন/এফএইচ