মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশন আদালতের স্টাফরা ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া, প্রতিবাদ করায় আইনজীবীর ওপর হামলা
চরফ্যাশন আদালতের স্টাফরা ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া, প্রতিবাদ করায় আইনজীবীর ওপর হামলা
ফরহাদ হোসেন : ভোলার চরফ্যাশন আদালতে ঘুষ উৎসবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ব্যাঞ্চ সহকারি (পেশকার), পিয়ন সহ সকল স্টাফরা। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘুষের প্রতিবাদ করায় চরফ্যাশন বারের বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজীর উপর হামলা করেছেন চরফ্যাশন আদালতের পেশকার আজাদ ও ফেরদৌসের নেতৃত্বে ঘুষখোর স্টাফরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজীকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজী অভিযোগ করেন, চরফ্যাশন আদালতের পেশকার, পিয়নসহ সকল স্টাফদের কাছে এখানকার আইনজীবীসহ সকল বিচারপ্রার্থীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। যখন যে ঘুষ দাবী করবে তা না দিলে আদালতের স্টাফদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে মানুষ হয়রানি ও লাঞ্চিত হতে হয়। আগামী বুধবার আমি একটি মামলার জামিনের আবেদন করবো। এইজন্য মামলা নম্বর নিয়ে আমার মহরারকে আদালতে প্রেরন করি। মামলার নথির ফটোকপি নিতে হলে আমার মহরারের কাছে পেশকার আজাদ ও ফেরদাউস ৫ শত টাকা দাবি করেন। তখন মহরার তাদেরকে ২ শত টাকা দেওয়া হলে তারা আমার মোহরারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাকে নথি না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। পরে আমি গিয়ে পেশকার ফেরদাউস ও আজাদকে বলি আপনারা সরকারি বেতন পান তারপরও আপনাদের কে এত টাকা দিতে হবে কেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার উপর এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করেন।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। হামলার ঘটনায় আমরা সকল আইনজীবীরা মিলে এজাহার লিখে থানায় জমা দিয়ে এসেছি। ওসি সাহেব আমাদেরকে মামলা এফআইআর করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজীর উপর হামলার ঘটনায় আমরা সকল আইনজীবীরা এখন মিটিংয়ে বসেছি। মিটিং এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা জজ আদালতের জেলা ও দায়রা জজ ড. এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম। উক্ত ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।