ভোলায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জাকির কাজীর বিরুদ্ধে মামলা!

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় কাজী অফিসে তালাক নামা নিতে এসে কাজীর হাতে এক নারী যৌন নির্যাতিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কাজী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৪ জুন বুধবার ভোলা সদর মডেল থানায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কাজী মো. জাকির হোসেনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩/৪৭৫। এদিকে মামলা উঠিয়ে নিতে কাজী জাকির বিভিন্নভাবে বাদীকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিত নারী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছোট মানিকা এলাকার এক গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত বুধবার দুপুরের দিকে তার ভাইকে নিয়ে ভোলা শহরের কালিবাড়ি মোড়ে সামসুদ্দিন মার্কেটের কাজী মো. জাকির হোসেনের কাছে তালাকের কাজে আসেন। পরে তালাকের কাজ শেষ করে ওই নারীর ভাই তাকে জাকির হোসেনের অফিসে রেখে তালাক নামা নিয়ে আদালতে যায়। এসময় কাজী জাকির ওই নারীকে একা পেয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় কাজী জাকির তার মুখ চেপে ধরে তাকে জোড়পূর্বক যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। পরে সে ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন চলে আসলে জাকির তাকে ছেড়ে দেয়। এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জাকির।
এর আগেও জাকির কাজীর লেবাসে বিভিন্ন সময়ে তার অফিসে আসা নারীদের যৌন হয়রানি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান পিংকু জানান, কাজী জাকির হোসেন তার কাজী অফিসে এর আগেও নারী ঘটিত অনেক অপকর্ম করেছেন। যার কারনে তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী মো. জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পেশাগত কাজী হিসেবে ১৬ বছরের কাজে এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। এখন আইন তাদের পক্ষে তাই তারা যা বলে তাই হয়।
 -এমএসজি/এফএইচ