বৃহস্পতিবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকি
ভোলায় মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার : মামাতো বোনকে বিয়ে করতে না পেরে ভাগ্নে কর্তৃক মামাকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকি ও মামাতো বোনকে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামা আজিজুল হক বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় এবং ভোলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডে ছোট আলকি গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পন্ডিত বাড়ীর আজিজুল হকের মেয়ে মেহেজাবীন মুন্না (মিসু) কে বিয়ে করার জন্য ৪ বছর পূর্বে আজিজুল হকের ভাগিনা একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাশঁ তলা এলাকার তেলী বাড়ীর বাসিন্দা ছালেহ আহমেদ ছেলে তরিকুল প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মিসুর বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং তরিকুলের পিতা ছালেহ আহমেদ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় আজিজুল হক তার মেয়ে মিসুকে তরিকুলের সাথে বিয়ে দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তরিকুল মিসুকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল। গত কয়েক মাস আগে আজিজুল হক একই এলাকার সোহাগের সাথে মিসুর বিয়ে দেয়। এতে তরিকুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজুল হককে হুমকি দিয়ে আসছে এবং মিসুর নামে নানা ধরনের আপত্তি কর মন্তব্য সমাজে প্রচার করছে। এই নিয়ে এলাকায় উভয় পরিবারের ভিতর উত্তেজনা বিরাজ করলে স্থানীয় পর্যায়ে সমাধানে চেষ্টা করা হয়। গত ঈদে মিসুর জামাই সোহাগ শ্বশুর বাড়িতে গেলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় তরিকুল। গত ৬ সেপ্টেম্বর আজিজুলের হকের ভগ্নিপতি ও তরিকুলের পিতা ছালেহ আহমেদ এর নেতৃত্বে তরিকুল, তার ভাই ফরিদ ও আরেক ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম সহ কয়েক জন আজিজুল হকের বাড়িতে এসে আজিজুল হক ও তার মেয়ে মিসুকে অকথ্য ভাষায় গালগাল করে। এক পর্যায়ে আজিজুল প্রতিবাদ করলে তারা আজিজুল হক ও তার জামাই সোহাগকে মারধর করে বাসার ভিতর থেকে নগদ অর্থ সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এসময় তরিকুল ও তার সঙ্গীরা আজিজুল হক তার মেয়ে মিসু ও স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে স্থানীয়ারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়ভাবে কোন সমাধান না পেয়ে আজিজুল হক বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য ভোলা সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা উত্তেজিত হয়ে এসআই রফিকুল ইসলামের সামনে আজিজুলকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে আজিজুল হক ভোলা পুলিশ সুপার বরাবার একটি আবেদন দাখিল করেন। এরপরও আসামিরা শান্ত না হয়ে আজিজুল হক ও তার পরিবারকে হুমকি প্রদান করে আসছিল। তাই আজিজুল হক বাদী হয়ে ভোলা জজ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয়রা জানান, ছালেহ আহম্মেদ দুষ্ট প্রকৃতির লোক ছালেহ আহমেদ এর প্ররচনায় তার ছেলেরা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হয়। ২০১০সালে তৎকালীন ভোলা ডিবি পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলামের হাত থেকে হাতকরা সহকারে পালিয়ে যাওয়া আলিনগরের বিশিষ্ট গাজা ব্যবসায়ী রফিককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে ছালেহ আহমেদ। পুলিশের হাত করা ভাঙ্গার সহযোগিতার অপরাধে ছালেহ আহমেদকে ১ বছর কারাভোগ করেছিল। এর পরেও ছালেহ আহমেদ সংশোধন হয়নি। মাদক ব্যবসায়ী রফিক ও ছালেহ আহমেদ নিকট আত্মীয় হওয়ায় ছালেহ আহমেদ মাদকের ব্যবসা করে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এবি/এইচএমএন