বৃহস্পতিবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানের নামে চলছে জাল ও মাছ বিক্রির বানিজ্য
ভোলায় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানের নামে চলছে জাল ও মাছ বিক্রির বানিজ্য
এইচ এম নাহিদ : এখন চলছে ইলিশ মাছ প্রজনন মৌসুম তাই ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করন ও বিক্রয় সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ । এই অপরাধে সম্পৃক্তদের ১ বছর হইতে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম করাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত বিধান করেছে সরকারের । এর ধারাবাহিকতায় অক্টোবর ১ তারিখ থেকে চলছে এই অভিযান, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের মোবাইল কোর্টের রয়েছে ব্যপক তৎপরতা। অভিযানকে পূজি করে ভোলার মৎস্য কর্মকর্তারা মেতে উঠেছে অর্থ বানিজ্যে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাঁত ৮ টায় ভোলা তুলাতলী ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায় মৎস কর্মকর্তাদের বানিজ্যের চিত্র।
অভিযানে প্রতিদিনই আটক হয় কারেন্ট জাল সহ মা ইলিশ। শুর থেকেই কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ বিক্রয়ের হাট বসে ভোলার বিভিন্ন নদীর পয়েন্টে । জাল ও মাছ কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা ওই ঘাটে আসে। এই জাল ও মাছ পরোক্ষভাবে বিক্রয় করে ভোলা মৎস্য অফিস কর্মকর্তারা। নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক কৃতজাল নৌকা ভর্তি করে নিয়ে আসেন ওই ঘাটে। ঘাটের এক শ্রেনীর দালালের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে জাল ও মাছ বিক্রি করে থাকেন মৎস কর্মকর্তারা। জাল ও মাছ বিক্রির ঘটনাটি ধরা পরে সাংবাদিকদের কাছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মৎস কর্মকতা জীবন কৃঞ্চ দাস।
এসময় উপস্থিত জাল ক্রেতারা জানায়, এখানে জাল ও মাছ কম দামে পাওয়া যায় বলে প্রতিদিন এই ঘাটে আসেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, মৎস্য কর্মকর্তাদের টহলের আটক কৃত জাল এখানে আসে। ট্রলারে রেখেই কিছু জাল পুড়িয়ে বাকি জাল গুলো ট্রলারে রেখেই তারা নাম মাত্র মুল্যে দালালদের মাধ্যমে বিক্রয় করে দেয়। এভাবেই প্রতিদিন মৎস কর্মকর্তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ভোলার নদী থেকে।
ওই ট্রলার মাঝি জানান, মৎস্য বিভাগ তাদের কে ভাড়া করে নিয়ে যায়। মুখ বন্ধ করার জন্য দুই একটি জাল বিক্রির জন্য আমাদের দিয়ে যায়।
ঘটনা স্থলে উপস্থিত জাতীয় মৎস্য সমিতির ইউনিয়ন সংগঠনের সদস্যরা জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের যোগ সাজসে অভিযানের নামে প্রতিদিনই চলে এই অপকর্ম। তিনি সরাসরি বিক্রয় সম্পৃক্ত না হয়ে তার অফিস সহকারীদের মাধ্যমে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মৎস্য অফিস সহকারী কর্মকর্তা জীবনকৃষ্ণ দাস জাল বিক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন। মৎস্য অফিস উপজেলা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বরিশালে আছেন বলে ঘটনার বিষয়ে এড়িয়ে জান।
বিষয়টি নিয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, অভিযোগটি নিয়ে আমারা তদন্ত টিম গঠন করে যাচাই কওে দেখবো যদি প্রমানিত হয় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন ঘটনার দিনই জীবন কৃঞ্চ দাস কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। তবে মাছ ও জ্বাল বিক্রির ঘটনাটি ট্রলারের মাঝিরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন।