শুক্রবার ● ৭ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনের অপহৃত শিশু ভারত কারাগারে
চরফ্যাশনের অপহৃত শিশু ভারত কারাগারে
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনের দু’সহদ্বর শিশু চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ হলেও এক শিশুকে পুলিশ উদ্ধার করেছে অপর এক শিশু ভারত কারাগারা বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সিকোরেটি ব্যাঞ্চ শিশুদের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শিশুদের পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এসবির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)আবুল হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামের হাছান আলীর পুত্রের সাথে তথকালীন একই ইউনিয়নের বর্তমান আবদুল্লাহপুর ৩নং ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী হাওলাদারের কন্যা সুরমা আক্তার পারিবারিক জীবনে ৩ ছেলে ও ১ কণ্যা রয়েছে। সংসার চালানো ও
সন্তানের লেখা পড়ার চালানোর সুবাধে পরের ঘরে জিএর কাজ করে চাঁদগাও আবাশিক থেকে ৭নং রোর্ড শমশের পাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বাসবাস করছে। আর ২সন্তানকে চট্টগ্রাম ওদুদিয়া ফজলুল করিম ওয়াবি মাদ্রাসায় লেখা পড়ার জন্য দেয়া হয়। ১৩ সালের ৩০ জুন হঠাৎ করে তার সন্তান দুটি আমান উল্যাহ আরমান (৯) ও আসাদুল্লাহ রহমান (৭) বাসায় ফিরেনি। ইউনুছ, হারুন ও সামছুদ্দিন ওই সন্তান দু’টিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে। এই ব্যাপারে চাঁদগাও থানায় সাধারণ ডায়রী করা হলেও চাঁদগা থানা পুলিশ কোন তথ্য বের করতে পারেনি।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে আশাদউল্যাহ রহমানকে পাওয়া যায়। জনৈক সিএসজির ড্রাইবার হেলাল তাকে (চট্টগ্রামের সুনিয়া) মাদ্রাসার রেল সড়কে পাশে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে আগ্রাবাদ শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে দেড়মাস সিকিৎসাধীন ছিল। সন্তানের পরিচয় না পাওয়ায় ১ বছর পর্যন্ত হেলাল শিশুকে লালন পালন করেছে। শিশু আসাদুল্লাহ রহমানকে মাদ্রাসার শিক্ষক খুঁজে পায়। মা সুরমাকে সংবাদ দেয়া হয়। আসাদুল্লাহ রমমান পিতা আবদুল আলী সন্তানের কাছে গেলে তাকে বলেন, আমাকে আপনার বন্ধু ইউনুছ নিয়ে গেছে। ইউনুছকে চাদঁগা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার তথ্য মোতাবেক সামছুদ্দিনকে আটক করেছে। অজ্ঞাত কারণে আমান উল্যাহ আরমানকে উদ্ধার না করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভারত কারাগারে থাকা শিশুর মা সুরমা আক্তার জানান, চলতি বছরের ১১জুন/১৭ তারিখে চট্টগ্রাম স্থনীয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাহবুব আলম মসজিদে শিশু আমান উল্যাহ আরমান ভারত কারাগারে রয়েছে ঘোষণা প্রদান করেন। সেখান থেকে সংবাদের মাধ্যমে সুরমা কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করলে ডিভি পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবুল হোসেনের কাছে গিয়ে সন্তানের কাগজপত্র দেখানো হয়। ভারত সরকার বাংলাদশে সরকারের স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিশু গুলোর নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ১ জুলাই/১৭ তারিখে মা সুরমা আক্তার ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমির হোসেন একত্রিত হয়ে সকল কাগপত্রে সঠিক নাম ঠিকানা দিয়ে এই এসবির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জনা গেছে।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম চাদঁগা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) আরিফ, শহিদুল ফোর্স নিয়ে ইউনুছকে আটক করেছে। তার তথ্য মতে সামছুদ্দিনকেও তার বাসা থেকে আটক করেছে। পুলিশ তাদেরকে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়। ফিরে আসা শিশু আসাদুর রহমান জানান, আমাদেরকে তারা ধরে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে গেছে। একটি ঘরের ভিতরে আটক রাখে। আমি ছুটে আসি ভাই আর আসতে পারেনি।
সুরমা আক্তার আরো জানান, ডিবি স্যারে বলেছে, বাংলাদেশের ৩৫টি শিশু ভারত কারাগারে রয়েছে। তার মধ্যে আমার সন্তান আমান উল্যাহ আরমানেও রয়েছে। তাদের সঠিক নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সঠিক নাম ঠিকানা হলে তাদেরকে ফিরত দেয়া হবে বলে স্যার আমাদেরকে জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের শাখা ব্রঞ্চ চট্টগ্রামের এসবি’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আবুল হোসেন বলেন, আমান উল্যাহ আরমান ভারত কারাগারে রয়েছে। আমাদের কাছে নাম ঠিকানা সঠিক কিনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আমি তা যাচাই-বাছাই করে পাঠিয়ে দিয়েছি।
-এমএএইচ/এফএইচ