শনিবার ● ১১ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলা ও চরফ্যাশনে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ভোলা ও চরফ্যাশনে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা ও চরফ্যাশনে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মেরে হাসপাতাল পাঠিয়েছে পাষ- স্বামী। সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে শনিবার সকালে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ইব্রাহীমের বাবা পুত্রবধূ সারমিনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত সারমিন একই এলাকার মৃত শেখ ফরিদের মেয়ে।
সারমিনের মা মমতাজ বেগম জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে একই এলাকার আ.মোতালেবের ছেলে ইব্রাহীম ওরফে কালু ভালবেসে তার মেয়ে সারমিনকে বিয়ে করে। বিয়েতে ছেলের বাবা রাজি না থাকায় এক বছর ইব্রাহীম স্ত্রী নিয়ে তাদের বাড়িতেই ছিলো। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক হিসেবে তারা ইব্রাহীমকে দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে দুই লক্ষ টাকা ইব্রাহীমের বাবার হাতে দিয়েছে বলেও জানান সারমিনের মা। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ইব্রাহীম তার পরিবারকে ম্যানেজ করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এর পর থেকেই চলে সারমিনের উপর নির্যাতন। কারনে-অকারনে ইব্রাহীম তার বাবা-মায়ের কথায় সারমিনকে মারধর করতো এবং মোটা অংকের যৌতুক দাবি করতো। সর্বশেষ শনিবার সকালে যৌতুকের টাকার জন্য সারমিনকে গলা টিপে ধরে এবং গাব গাছের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখম করে। পরে ইব্রাহীমের পরিবার সারমিনের অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এব্যাপরে অভিযুক্ত ইব্রাহীমের বাবা বলেন, ছেলে আমাদের অমতে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার পরও আমরা সারমিনকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমি সকালে কাজ করতে বাড়ির বাহিরে যাই। পরে বাড়িতে এসে সারমিনের অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। যৌতুকের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। ইব্রাহীম আমাদেরকে তার শ্বশুর বাড়ির কোনো টাকা পয়সা দেয় নাই। তবে আমি শুনেছি তার শ্বাশুরী তাকে ষাট হাজার টাকা দিয়েছে।
এব্যাপরে সারমিনের স্বামী ইব্রাহীমকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ৭নং ওয়ার্ডে স্বামী, শাশুরী ও শশুর কর্তৃক মরিয়ম (৩৫) কে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টায় মরিয়মকে আবদুল্লাহপুর শশুর বাড়ীতে স্বামী আবুল কালাম, শশ^র আ.রশিদ ও শাশ^ড়ী নুরবানু বেদড়ক প্রহার করেছে।
মরিয়মের পিতা নেজামল জানান, আমার মেয়ে প্রায় তার স্বামীসহ আত্মিয় স্বজন যৌতুকের জন্যে প্রায় মার ধর করে থাকে। তারা স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে। তার পরেও শনিবার ৮টার সময় মেয়েকে পিটিয়ে ঘরে ফেলে রাখে। তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট বিচার দাবী করেছেন।
-এমএ/এমএএইচ/ এফএইচ