বুধবার ● ৮ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে
চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে
বিশেষ প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচেঁ মানবেতর জীবন করছে। উপজেলার আসলামপুর ও চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুমরে-মুচরে পড়ে রয়েছে ঘর-বাড়ি গুলো। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব তছনছ করে দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই মাথার উপর দিয়ে ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায় আর দুমরে-মুচরে দেয় ঘরটি। সেই সব শতাধিক ঘরের অন্তত সহশ্রাধিক মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
উপজেলার দুটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে গেলেও চরমাদ্রাজ ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সরজমিনে চরমাদ্রাজ ইউনিয়নে গেলে দেখা যায় লন্ডভ- হয়ে থাকা ঘর-বাড়ি। ঘরের সব মালামাল বাহিরে এনে শুকা দিচ্ছে।
ঘর বিধস্ত হওয়া চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরনাজিম উদ্দিন গ্রামের বিবি ফাতেমা বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের নিচেই সবাই চাপা পড়েছে। পরে কোন মতে বের হয়েছে পরিবারসহ তিনি।
পাশেই মোঃ মফিজ বেপারীর ঘরটিও সম্পূর্ন রুপে বিধ্বস্ত হয়। এ গ্রামে আরো বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের দেখা যায়, তারা তাদের বই রোধে শুকা দিতে। আবার কেউ ঘর থেকে বিচানা বালিশ বের করে শুকা দিচ্ছে।
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, কাদির মাঝী, বেগম,দুলাল মাঝী, আঃ সহিদ, মোঃ মিজান হাং, সেকান্তর হাং, আলাউদ্দিন গোলদার, মনির গোলদার, আলমগীর মাঝী, সাত্তার সিকদার, হারুন মাতাব্বর ও মাসুদ মাঝীর ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙ্গে যায় সম্পূর্ন ঘর-বাড়ি। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি পাশের ৭নং ওয়ার্ডে ও চর আফজাল গ্রামটিও।
এদিকে উপজেলার পূর্বাঞ্চল সর্ববৃহত্তর চরমাদ্রাজ ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসাটি ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকাল ৩টায় হঠাৎ ঘুর্ণিঝড় এসে মাদ্রাসায় আঘাত হানে। এতে মাদ্রাসা উপর টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রায় ২/৩লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করেছেন চরফ্যাশন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মনোয়ার হোসেন। ক্ষতিগ্রস্ত মাঝে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করেছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য,গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করেই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মাঠে গরু আনতে যাবার সময় আছলামপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মো: মোর্শেদ (২২) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয় এবং অন্তত ৫জন আহত হয়।
-এমএএইচ/কেএস/এফএইচ