মঙ্গলবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ
বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: বোরহানউদ্দিনে এক সহকারী পুলিশ উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধার পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। প্ুলিশের ওই এএসআই জসিম বর্তমানে বোরহানউদ্দিন থানায় কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী আব্দুল মন্নান হাওলাদার পক্ষিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযুদ্ধা মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হাওলাদার মারা যাওয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃকপ্রাপ্ত ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তার ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে পাওয়ার কথা থাকলেও তার ১ মেয়ে কামরুননাহার (৩৫), স্বামী সিরাজ বাকলাই, সাং কাচিয়া ২ নং ওয়ার্ড নিজেকে একাই সন্তান দাবী করে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেনে।
এদিকে মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হাওলাদারের এক সন্তান আ. মন্নান হাওলাদার চার বোন তিন ভাই দাবী করে ভোলা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৫৭/১৬, তারিখ ২৪/১১/১৬। ওই মামলার আলোকে সরজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ মামলা এএসআই জসিম সরজমিনে তদন্ত করতে যান। তদন্তের নামে বাদী আ. মন্নানের কাছে বিভিন্ন সময় ১০/১২/১৬ তারিখ ১,৫০০/- টাকা, পরের দিন থানায় ডেকে এনে নেয় ৫,০০০/-টাকা ও পরের দিন থানার সামনে আড়তের দোকানে বসে ২,০০০/- টাকাসহ মোট ৮,৫০০/- টাকা বাদীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। ওই প্রতিবেদন কোর্টে দাখিলের জন্য আরও ৩০ হাজার (তিরিশ হাজার) টাকা ঘুষ দাবী করেন। তখন মামলা বাদী আ.মন্নান হাওলাদার তার অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন মুুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমার আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়, আমাকে ঘুষের এই যাতাকল থেকে ক্ষমা করেন, বললে তদন্ত কর্মকর্তা আমার গায়ে হাত বুলিয়ে বলে এ ধরনের মামলায় ৫০,০০০/- পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগে, এর ভাগ উপরে দেয়া লাগবে। নচেৎ মামলার তদন্ত রিপোর্ট আপনার বোনের (বিবাদীর) পক্ষে চলে যাবে বলে হুমকি দেয়।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই জসিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেউ দিতে পারবে না।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার মো.মোক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি তদন্তের সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের কাছ থেকে এএসআই জসিমের ঘুষ কেলেঙ্কারীর বিষয় এমপি পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং আদায়কৃত ঘুষের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংসদ সদস্য।
-এএম/এফএইচ