শনিবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ‘হ্যাপীর ধর্ষণ মামলা খাইতে ৫ লাখ টাকা বাজেট করেছি’
‘হ্যাপীর ধর্ষণ মামলা খাইতে ৫ লাখ টাকা বাজেট করেছি’
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: নিজে চাকুরিজীবি,বাবা আওয়ামীলীগের সভাপতি, ম্যাজিস্ট্রেট নিকটাত্মীয়, পত্রিকায় লিখে হবে কি, হ্যাপীর ধর্ষণ মামলা খাইতে ৫ লাখ টাকা বাজেট করেছি’ বলে বেড়াচ্ছেন চরফ্যাশনের শশীভূষণে রসুলপুর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির ছেলে ধর্ষক মাহফুজুর রহমান (রণি)। শুধু তাই নয় তাঁর স্বজনরা ও নির্যাতিতা হ্যাপীকে আইনী সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের মামলার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা এবং মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, রসুলপুর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্টু মাস্টারের ছেলে ধর্ষক মাহফুজুর রহমান (রণি) ঢাকা থাকার সুবাধে মিরপুর এলাকার হ্যাপীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ইসলামী সরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাংসারিক কার্যক্রম শুরু করে। এতে হ্যাপী অন্তঃস্বাত্তা ও হয়ে পড়ে। কিছু দিন পর রণির পরিবার পরিকল্পনায় রসুলপুর ইউনিয়ন পরিদর্শক পদে চাকরী হওয়ায় হ্যাপীকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে আসেন। গত ৭ নভেম্বর হ্যাপী স্ত্রীর দাবি নিয়ে রণির বাড়িতে উঠলে রণি হ্যাপীকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন।
হ্যাপী অভিযোগ করেন, রণিদের বাড়ীতে আসার পর তার গর্ভপপাত ঘটিয়ে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার পর একই এলাকার কবিরের বাড়ীতে আশ্রয় নিলে রণির পরিবার হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে রণি ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় ৩০ নভেম্বর হ্যাপী মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রনি সহ ৭ জনকে আসামী করে কমপ্লেইন পিটিশন মামলা নং ৯২৩/১৬ইং দায়ের করেন। শুনানী শেষে উহার তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিজ্ঞ আদালত সহকারী পুলিশ সুপার লালমোহন কে নির্দেশ দেন। এই নিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা গত ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে রণি ও তার পরিবার বিভিন্ন অপপ্রচার ও হ্যাপীকে আইনী সহায়তা প্রদান কার্য মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সভাপতি/সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ও স্থানীয় রসুলপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ হুমায়ুন কবীর ও তার পরিবারটিকে মামলার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার এবং মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি ধামকি ও মামলা-হামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসেন রণি ও তার পরিবার।
পিতা-মাতা হারা অসহায় নির্যাতিতা হ্যাপী আক্তার প্রতারণার কাঁদে পরে বাহানা মূলক বিয়ে পড়ায়ে দাম্পত্য স্বত্ব পালনের নামে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয় রণি। অতপর অন্তঃস্বত্তা ঘটানোর প্রতিকার চেয়ে স্বামীর স্বীকৃতির জন্য ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা করেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ৫ লাখ টকা খরচ করার মত ধনাট্য প্রতিপক্ষ রণিদেও সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে গিয়ে মূলত ন্যায় বিচার পাবে কি? কারণ বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে এমন প্রবাদ বাক্যই অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে।
-এসইএস/এফএইচ