বৃহস্পতিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় প্রতারণা করে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা
ভোলায় প্রতারণা করে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় সামি ডাইরেক্ট কোম্পানী (হায় হায় কোম্পানী) খুলে প্রতারণার মাধ্যমে মিজানুর রহমান (শাহীন) লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। ওই কোম্পানী একাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ভোলার তালুকদার ভবনের ৪র্থ তলায় সামি ডাইরেক্ট কোম্পানীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অফিস খুলে বসেন প্রতারক মিজানুর রহমান শাহীন। এসময় তিনি তালুকদার ভবনের বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে (এমএলএম) মার্কেটিং এর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অর্থ আদায় করে। ওই শাহীন নাম সর্বস্ব একজন বস দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেলে সভা-সেমিনার করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের আস্থা অর্জন করে। ওই সকল গ্রাহকরা বুঝে উঠার আগেই প্রতারক শাহীন বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আধারে সাইবোর্ড গুটিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রাহকরা শাহীনকে না পেয়ে তার কালিবাড়ীস্থ পাঠান মঞ্জিলে খুজতে গেলে তার মাতা গ্রাহকদেরকে জানান, তারা তার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ইতোমধ্যে শাহীন স্ত্রীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন’ আইনে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী। ওই মামলার আসামী হয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে শাহীন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সোলায়মানসহ বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, শাহীন একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। তার খপ্পরে পরে তাঁরমত একাধিক গ্রাহক লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন। শাহীনকে এখন আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতারিত গ্রাহকরা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শাহীনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে টাকা ফেরত পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহীন শুধু ভোলাতেই নয়, বিভিন্ন উপজেলায় এরকম একাধিক নাম সর্বস্ব অফিস নিয়ে নামে, বে-নামে কোম্পানী খুলে একজনকে ঢাকার বস সাজিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার এই প্রতারণার কাছে সাধারণ সরল মনের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ০১৭১১-৪৪৫৭৫২ কল রিসিভড না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এমএইচএম/এফএইচ