শনিবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলার ভেদুরিয়ায় পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ
ভোলার ভেদুরিয়ায় পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ
এইচ এম নাহিদ: ভোলা সদর উপজেলায় পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে রাঁতভর নির্যাতন ও ইউপি মেম্বার হাকিম মিঝির অর্থ বাণিজ্যর কারণে সংসার ভাঙ্গছে শাহিদার। উপজেলার ভেদুরীয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের টেকের হাট এলাকায় এ এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রায় বছর ৫ আগে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আঃ মালেকের মেয়ে শাহিদা (২৫) এর সাথে পূর্ব ইলিশা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আহম্মদের ছেলে ঢাকার টাইল্স মেস্ত্রী মিলন এর সাথে বিয়ে হয়। গত ১৫ দিন আগে শাহিদা টেকের হাট তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরকিয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে রাঁতভর নির্যাতন ও ইউপি মেম্বার হাকিম মিঝির অর্থ বাণিজ্যর কারণে সংসার ভাঙ্গছে গৃহবধূর।
গৃহবধূ শাহিদা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে আত্মীয়র সুবাধে ভোলা পশ্চিম ইলিশার বাঘারহাট সংলগ্ন ধানসিঁড়ি এলাকার ছিদ্দিকের ছেলে আনোয়ার আমাদের বাসায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে যাওয়ার সময় একই এলাকার মুদি ব্যবসায়ি জহিরের নেতৃত্বে টেকের হাট দোকানের সামনে আনোয়ারকে আটক করে। স্থানীয় মেম্বার হাকিম মিঝি ঘটনাস্থলে এসে পরিকিয়ার অভিযোগ তুলে আনোয়ারকে মারধর করে ঘরের ভিতর তালা মেরে রাখেন এবং বিনা কারনে মেম্বার হাকিম আমাকে তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে আটক রেখে রাঁতভর নির্যাতন করেন। পরিকিয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাত ৩ টার দিকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে আনোয়ারের পরিবারের কাছ থেকে মেম্বার ও মুদি ব্যবসায়ী জহির ৭০ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্য করে তাকে ছেড়ে দেয়। জহির ও মেম্বার হাকিম মিঝির মিথ্যা অভিযোগের কারণে আজ আমার সংসার ভাঙ্গার পথে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, শাহিদার ঘরে আনোয়ার প্রায়ই আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন আনোয়ারকে দোকানের সামনে থেকে আটক করে। মেম্বার হাকিম, আনোয়ার ও শাহিদাকে রাঁতভর নির্যাতন করে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে ওদের ছেড়ে দেয় । আর এই ধরনের অপরাধের ইন্ধন দাতা জহিরের জন্য হাকিম মিঝি এলাকায় অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে শাহিদার স্বামী মিলন জানান, শাহিদার চরিত্র ভাল নয়। পিছনেও তার অনেক রেকর্ড রয়েছে। তার পরিকিয়ার বিষয়টি এখন সকলের মুখে মুখে। তাকে নিয়ে আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে ওয়ার্ড মেম্বার হাকিম মিঝি ও তার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছি।
অভিযুক্ত মেম্বার হাকিম মিঝি নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনোয়ারকে সন্দেহ করে এলাকাবাসী আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি এসে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে অনেকটা সত্যতা মিলে। পরে শাহিদার মামার কথায় আনোয়ারের পরিবারের লোকের কাছে বুঝিয়ে দেই।
আরেক অভিযুক্ত জহির এলাকার ছেলেদের চা পানির খরচ বাবদ কিছু টাকা লেন দেন হয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানান।
এফএইচ