মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে বেড়াতে আসা স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মা
চরফ্যাশনে বেড়াতে আসা স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মা
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের চর নাজিমুদ্দিন গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়ের বাবা ঘটনা জানার পর মেয়েকে না নিয়ে শরিয়তপুর গেলে ঘরে স্থান হবেনা বলে জানিয়ে দেয়ায় নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ী বেড়াতে আসা মা বিপাকে পড়েছেন। নিরূপায় মা হনুফা বেগম জোড় পুর্বক তুলে নেয়া নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জ চরফ্যাশন থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে মেয়ের মা হনুফা বেগম জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে তার মেয়ে শরিয়তপুরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চর নাজিমুদ্দিন গ্রামে বেড়াতে আসেন। বেড়ানোর এক পর্যায়ে তার বোনের ছেলে আছলামপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ গ্রামের সবুজ ও মনির মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পুর্বক তাদের বাড়ী নিয়ে যায়। সম্প্রতি তিনি শুনেছেন তারা তার নাবালিকা মেয়েকে তাদের এলাকার জনৈক কুদ্দুছ ও জামালের সহায়তায় বোনের ছেলে জামালের সাথে বিয়ে পড়িয়েছেন। বিষয়টি তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে মেয়ে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে প্রশাসনের সরনাপন্ন হয়েছেন।
হনুফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীর বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছি কিন্তুএ ঘটনায় আমি নিরূপায় হয়ে পড়েছি। মেয়ের বাবা বলেছেন মেয়েকে না নিয়ে শরিয়তপুর গেলে ঘরে স্থান দিবেনা। তাই মেয়ে উদ্ধারে আপনাদের সহযোগীতা চাই। একথা বলেই কেঁদে দেন মেয়ের মা হনুফা।
বাল্য বিয়েতে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত কুদ্দুছ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা মেয়ের চাচা আনছার দেওয়ান উপস্থিত থেকে এই বিয়ে পড়িয়েছেন। মেয়ের মা হনুফা বেগম এই বিয়ের বিরোধীতা করলে ও মেয়ের চাচা আনছার দেওয়ান জানান, মেয়ের মায়ের উপস্থিতিতেই বিয়ে হয়েছে।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ ম,এনামূল হক জানান, এ বিষয়ে আবেদনকারীকে আইন গত সহায়তা দেয়া হবে।
এমএএইচ/এফএইচ