

শুক্রবার ● ৫ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » লালমোহনে স্বামীর পাষবিক নির্যাতনে স্ত্রী সুলতানা এখন হাসপাতালে
লালমোহনে স্বামীর পাষবিক নির্যাতনে স্ত্রী সুলতানা এখন হাসপাতালে
বিশেষ প্রতিনিধি :: ভোলার লালমোহন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হাসান হাওলাদার বাড়ীর গৃহবধূ সুলতানা বেগমকে ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য আনসার সদস্য স্বামীর পাষবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে ভোলা থানায় নারী নির্যাতনের মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এই ঘটনার পরে স্বামী আনসার সদস্য সোহাগ ও তার মা নিলুফা বেগম গা ডাকা দিয়েছে।
সুলতানার বাবা ইউসুফ হোসেন অভিযোগ করেন, সুলতানাকে বিয়ের পর থেকে সোহাগ আমার কাছ থেকে যৌতুক হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমি মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু না বলে টাকা দিয়েই গেছি। কাউকে কিছু জানাইনি। তবে বেশ কয়েক দিন আগে আমি আর টিকতে না পেরে চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের মোস্তাফিজ চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি এ ব্যাপারটি নিয়ে আমার জামাই সোহাগকে বুঝাই। কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি। আবার আমার মেয়েকে শুক্রবার ভোরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে সোহাগ ও তার মা লিলুফা মিলে আমার মেয়েকে পাষবিক নির্যাতন চালায়। এসময় তিনি হাসপাতালে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাই।
এদিকে হাসপাতালের বেডে শয্যাসহী সুলতানা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামী সোহাগ বিয়ের পর থেকে ৯ বছর ধরেই যৌতুকের জন্য আমার উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছে। আমি তার অত্যাচারের হাত থেকে বাচাঁর জন্য বাবার কাছ থেকে এই পর্যন্ত ১০ লক্ষ টাকার মত যৌতুক এনে দেই। তার পরেও তিনি ক্ষ্যান্ত হয়নি। সম্প্রতি তিনি আবার বিয়ে করবে বলে আমাকে বাবার বাড়ী থেকে ১লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। এতে আমি অপারগতা জানালে আমার শ্বাশুরী লিলুফা বেগম ও আমার স্বামী সোহাগ মিলে আমাকে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা আমি জেনে ফেললে তারা শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোন চুরির নাটক সাজিয়ে আমাকে দুজনে মিলে ব্যাপক মারধর করে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পরি। এসময় আমার ছেলে শাফিন পর্যন্ত ভয়ে আত্মগোপন করে। আমি এ অত্যাচারের বিচার চাই।
এদিকে এলাকাবাসী জানাই,সোহাগ বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার)রে ঢাকায় চাকুরী কররা সুবাধে সেই ক্ষমতার বলে সুলতানাকে প্রায় পাষবিক নির্যাতন করতো। শুধু তাই নয় সম্প্রতি ঢাকাতে একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে পরায় এখন সুলতানাকে ডিবোর্স দেয়ার জন্য এখন পাষবিক নির্যাতন করে। এই ঘটনায় ভোলা সদর থানায় রাতেই নারী নির্যাতনের মামলার প্রস্তুতি চলছে ।