শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » ফটোগ্যালারী » জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন’ নিয়ে পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জ
প্রথম পাতা » ফটোগ্যালারী » জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন’ নিয়ে পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জ
৫০৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন’ নিয়ে পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জ

 

 ---

ঢাকা :: বিএনপিপন্থি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘ভোটবিহীন সমাঝোতার’ কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান ক্লাবের ‘নির্বাচনের’ পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। উভয়পন্থি সাংবাদিকদের পৃথক দু’টি সমাবেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা এ চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতালায় ক্লাবের বিএনপিপন্থি সদস্যরা শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ’ এ অংশ নেয়। একই সময়ে নীচতলার প্রবেশপথের সামনে শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা সমাবেশে অংশ নেয়। তবে এ সমাবেশে ‘সমাঝোতা’ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানসহ অন্য বিএনপিপন্থি নেতাদের দেখা যায়নি।

বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের সমাবেশে শওকত মাহমুদ বলেন, প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিচ্ছে। আমি তাদের নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। নির্বাচনে আসুন, যদি হেরে যাই তাহলে কান কেটে ফেলবো। যদি সাহস থাকে তাহলে আসুন, দেখি কে পারে। প্রেসক্লাব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আর শেয়ারবাজারের লুটেরাদের না, এটা সাংবাদিকদের। আমার বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সদস্যরা মানসিক বিকারগ্রস্তদের নির্বাচিত করবে না। তাই যারা বারবার হেরে গেছেন তারাই একে জবরদখলের চেষ্টা করছেন। নেতা হওয়ার হওয়ার স্বপ্ন থাকলে নির্বাচনে আসুন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার, মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। কারণ ওদের সঙ্গে প্রেসক্লাবের কোন সদস্য নেই। তিনি আরও বলেন, একটি বৈধ কমিটিই কেবল আরেকটি কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সাংবাদিকদের ত্রিখ-িত করে দুর্বৃত্তদের যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, বন্ধ গণমাধ্যম চালু করা, সাংবাদিকদের মামলা প্রত্যাহারের আন্দোলন বন্ধ হবে না। এখন অবৈধদের বিতারিত করার আন্দোলনও চলবে।

শনিবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা ‘অবৈধ’ কমিটির বিরুদ্ধে প্রতীক অনশন করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শওকত মাহমুদের এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই শফিকুর রহমান আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকদের সমাবেশে বলেন, কিছু প্রাণী আক্রমণ করে না দূরে থেকে চিৎকার করে, করতে থাকুক। দোতালায় শুনে আসলাম একজন আমাকে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। আমি না, আমার পরের ১০ বছরের জুনিয়রকে নির্বাচনে দেব। দেখবেন সম্ভ্রম ধ্বসে যাবে। কারণ বিএনপি ভুয়া ভোট দিয়ে পাস করেছিল, কিন্তু এসব বাতিলের পর তারা ৩০-৩২ টি আসন পেয়েছে। প্রেসক্লাবেও ভুয়া ভোটগুলো বাতিল করলে দেখবেন একই রেজাল্ট হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে অনেকে সদস্য হয়েছিলেন। এখন তারা আসেন না। যারা সদস্য পদ থেকে এতদিন বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরই বাছাই করে আমরা সদস্যপদ দেব।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ উস্কানি দিচ্ছে, যাতে আমরা তাদের উপর আক্রমণ করি। তাতে কিছু পত্রিকা মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখবে, আর টকশোতে তো অনেকে আছেনই সমালোচনার জন্য। শেখ হাসিনা নতুন নতুন গণমাধ্যমের অনুমোদন দেন আর তারা তারই সমালোচনা করে। কিন্তু তিনি এসব পরোয়া করেন না। আমিও তাদের পরোয়া করবো না, কারণ আমি তো তারই কর্মী।

প্রেসক্লাবের শেষ নির্বাচিত কমিটির প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ওরা লাখ লাখ টাকার ডাল পুড়িই খেয়েছে। প্রতিদিন ক্যান্টিনে ১০ হাজার টাকার সাবসিডি যায়, অথচ ২০০ লোক এখানে খায় না। এসব তদন্ত হবে। তাই তাদের মাথা গরম হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেই সব ধরা পড়বে।

সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত ১০০০ থেকে ১৫০০ জনকে সদস্যপদ দিতে হবে, প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল স্থাপন করতে হবে, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকার সময়ও যারা আন্দোলন করেছেন তাদেরও সদস্যপদ দিতে হবে। যারা কাজের সময় থাকেন তাদেরই আগে বিবেচনা করতে হবে।

সমাবেশে বিএনপিপন্থি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, এভাবে অবৈধ কমিটি করলে প্রেসক্লাবে ৮০০ কমিটি করা যাবে। আবদাল আহমেদ, আপনি কাজ করুন। দেখি কে আপনাকে বাধা দেয়, আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আর প্রেসক্লাবের কর্মচারী, আপনারা বৈধ কমিটির সঙ্গে কাজ না করলে আপনাদের চাকরির নিশ্চয়তাও বিঘিœত হবে।

তিনি বলেন, এমন কোন শক্তি নেই এই প্রেসক্লাবকে দখল করে রাখবে, দখলদার এই কমিটিকে আমরা মানিনা মানবো না। জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনের দাবিতে প্রয়োজনে আমরা রক্ত দিয়ে প্রস্তুত আছি।

এর আগে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের সমাবেশে প্রেসক্লাবের ‘শেষ নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, নির্বাচিত কমিটির কাছেই আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবো, অবৈধদের কাছে না। কিন্তু একটি অবৈধ কমিটি নানা নিয়ম করছে, চিঠি দিচ্ছে। তা দেখে প্রেসক্লাবের সদস্যরা দু’টি শব্দ বলছে- বেহায়া ও নির্লজ্জ।

এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, প্রেসক্লাবের সবশেষে নির্বাচিত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।