শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট: বাড়ছে করের বোঝা
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট: বাড়ছে করের বোঝা
৫৬৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট: বাড়ছে করের বোঝা

 ---

ঢাকা :: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট উত্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ পকাটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেছেন তিনি। এ বাজেটে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে একটু কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা ৩৫ মিনিট থেকে তিনি বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। নবমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করন তিনি।২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বাজেটের আকার ছিল দু​ই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আদায় করা হবে। এনবিআর-বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অর্থমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান।সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৫ সালের অর্থবিলও উপস্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত এ বাজেট সংসদে আলোচনার পর ৩০ জুন পাস হবে।সংসদে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হবে ৭ জুন এবং ৮ জুন পাস হবে। নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ৯ জুন এবং শেষ হবে ২৮ জুন। অর্থ বিল পাসের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হবে।নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৪৫ ঘণ্টা। সাংসদরা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন।বিশাল এ বাজেটে ব্যয় করা হবে তিনটি ভাগে। যেখানে অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কোটি, উন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ২ হাজার ৫৫৯ কোটি এবং অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে পুরো ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকাই ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।বিশাল এ ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। যেখানে এনবিআরের মাধ্যমে কর আদায় করা হবে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। আর এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতীত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। মোট আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পুরো বাজেটের মোট আকার থেকে ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা কম; আর টাকার এ পরিমানটিই হলো বাজেট ঘাটতি। যা চলতি অর্থবছরে ছিল (শংশোধিত) ৭৬ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। এ ঘাটতি বাজেটের আকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ঘাটাতি বাজেট পূরণ করার জন্য সরকার নির্ভর করবে বৈদেশিক বিভিন্ন উৎস ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। বৈদেশিক উৎস থেকে সরকার নেবে ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেবে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা।অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে পরিমান টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা সরকার নির্ধারণ করেছে তার বেশিরভাগটিই ঋণ নেবে ব্যাংকিং খাত থেকে। এখানে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা।উন্নয়ন ব্যয়ের ৯৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে। আর এবারে মূল্যস্ফীতি আরও কমিয়ে অনার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.২ শতাংশে।দেশের বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রশাসনে ১ লাখ ২ হাজার ৭৮১ কোটি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ২১ হাজার ১ কোটি, প্রতিরক্ষায় ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ১৩ হাজার ৬৪৪ কোটি, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ৩৪ হাজার ৩৭৮ কোটি, স্বাস্থ খাতে ১২ হাজার ৭২৫ কোটি, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ১৬ হাজার ৯৫৫ কোটি, গৃহায়ন খাতে ২ হাজার ৯১৯ কোটি, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ২ হাজার ২৮৫ কোটি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৮ হাজার ৫৪১ কোটি, কৃষি খাতে ১৯ হাজার ৯৮৩ কোটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ২ হাজার ৭৫৬ কোটি এবং পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে ২৮ হাজার ৭৩৪ কোটি বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বরাদ্দ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা।স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য ৩ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকাসহ মোট বরাদ্দ হবে ১ লাখ ৯৯৬ কোটি টাকা।বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মানবসম্পদ, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আমরা আঞ্চলিক সমতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গুণগত ব্যয়ের বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েছি।অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাত) ২২ শতাংশ, সার্বিক কৃষি খাতে (কৃষি, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী ইনস্টিটিউশন, পানিসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে) ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, যোগাযোগ (সড়ক, রেল, সেতু এবং যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য) খাতে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।অনুমোদিত এডিপি বরাদ্দের বাইরে ৬২ হাজার ৫শ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের নতুন এডিপিতে বিগত বছরের এডিপির আকারের চেয়ে প্রায় ১৬ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৫ সালের এডিপির আকার ছিলো ৮০ হাজার ৩১৪ দশমিক ৫২ কোটি টাকা।এ ছাড়া ২০১৫ সালে সংশোধিত এডিপি বরাদ্দ ৭৫ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ২২ হাজার ৫শ কোটি টাকা বেশি। এডিপিতে ১৭টি প্রধান সেক্টরের অধীন প্রকল্পগুলো ৮৯ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। দশটি উন্নয়ন সহায়তা সেক্টরে ২ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপিতে ৮৫৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১৩২টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পসহ প্রায় ১ হাজার ১২৩টি প্রকল্প রয়েছে।নতুন এডিপিতে কোনো বরাদ্দ ছাড়াই প্রায় ৮৫৭ অননুমোদিত প্রকল্প রাখা হয়েছে। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ৩৬৮ অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) উদ্যোগের অধীনে বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ৪০টি প্রকল্প রাখা হয়েছে। ২৮১ বিনিয়োগ প্রকল্প, ৪১ কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং দুটি জেডিসিএফ প্রকল্পসহ আগামি অর্থবছরের এডিপিতে সম্পন্ন করার জন্য প্রায় ৩২৪ প্রকল্প রাখা হয়েছে।নতুন এডিপিতে চলতি অর্থবছরে সম্পন্ন না হওয়া প্রায় ২০৯ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।নতুন এডিপিতে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৯২১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সেতু বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৬ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১৭ শতাংশ।অপরদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৫ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা খাতে ৫ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে ৪ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগে ১৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা, কৃষিতে ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা, পানিসম্পদ খাতে ৩ হাজার ৬২ কোটি টাকা, রেলওয়ে ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা এবং সড়ক, পরিবহন ও মহাড়ক বিভাগে ৫ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এদিকে, অর্থনীতির নানা সূচকে স্বস্তির সুবাতাসের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বাজেটে ব্যয়ের এই ফর্দ আকারের দিক দিয়ে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বড়।২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে এবার মূল বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ২ শতাংশ।এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৯৬ কোটি টাকা; যার ৯৭ হাজার কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। উন্নয়ন ব্যয়ের এই পরিমাণ জিডিপির ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১.৫ শতাংশ। এই ব্যয়ের বড় একটা অংশই যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশনে। এর সঙ্গে বিদেশি ঋণের পুঞ্জীভূত সুদ মেটানোর দায়ও রয়েছে।এই বিশাল ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশই রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে জনগণের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে জরিপ করে পাওয়া নতুন কয়েক লাখ করদাতাকে করজালে নিয়ে এস রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা তিনি সংসদে তুলে ধরেছেন।খাত ধরে ধরে মোট ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের আশা করছেন মুহিত, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর, আমদানি শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার যোগান দেবে।আর এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি এবং ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা কর বহির্ভূত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন মুহিত।এই হিসাবে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি থাকছে ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। বরাবরের মতোই বিদেশি ঋণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণ থেকে এই ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা দিয়েছেন মুহিত।বাজেটে বিদেশি উৎস থেকে ৩০ হাজার ১১৪ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করা হয়েছে।অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৫৫ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যাংক থেকে ধার করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা।এছাড়া ব্যাংক বহির্ভূত উৎস ও জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে তুলে ধরে মুহিত বলেন, বৈদেশিক সহায়তার যে বিশাবল পাইপ লাইন গড়ে তোলা হয়েছে সেখান থেকে ব্যয় বাড়লে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা যথেষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস। সেই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব, যাতে অন্তত আগামী বছরের বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের হার বাড়ানো যায়। নতুন বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, আসন্ন নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বাড়বে।সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন মুহিত।পরিসংখ্যান ব্যুরোর চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের তথ্যঅনুযায়ী, চলতি বাজার মূল্যে দেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা ছিল।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।