

বুধবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে থাই দূতাবাস
বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে থাই দূতাবাস
ডেস্ক: থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আগ্রহী থাই দূতাবাস। এ লক্ষ্যে সেদেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারের উদ্যোগ নিতে দূতাবাসের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত। দেশটির রাষ্ট্রদূত জানান, পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা গেলে, দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও মাছ রপ্তানিতে বিশাল সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকক ও ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী। ওই সময় এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেন থাই রাষ্ট্রদূত। ওই বৈঠকেই দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে করণীয় ঠিক করা হবে। এ সময় থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে রাষ্ট্রদূতকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পর, বিশ্ববাজারে বেশকিছু বাজার সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই ২০২৬ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ বা পিটিএ অপরিহার্য হবে। তবে এ ধরনের বাণিজ্য চুক্তি করার আগে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে জানিয়ে জসিম উদ্দিন থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে থাই বিনিয়োগ আসতে পারে। এফবিসিসিআই সভাপতি এ সময় চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতের উদাহরণ দিয়ে থাই বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অনেক দেশই তাদের নিজেদের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েছে। থাইল্যান্ডও চাইলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে।’