বুধবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনের নীলকমল ও নজরুল নগরে বাড়ছে অপরাধ
চরফ্যাশনের নীলকমল ও নজরুল নগরে বাড়ছে অপরাধ
আদিত্য জাহিদ: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বৃহৎ এলাকা বর্তমানে অপরাধীদের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনায় ও নজরুল নগর ইউনিয়ন। এ দুই ইউনিয়নে একের পর এক ঘটছে অপরাধ জনীত ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে গত ১৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মীরা বাড়ির পুত্রবধূ সেলিনার সহযোগিতায় পাশ্ববর্তী ষোড়শী যুবতীকে ডেকে নিয়ে একই এলাকার রু বেল, আবু তাহের, খোকন, মিনহাজ কর্তৃক গণ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে। ধর্ষিতাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গাইনী চিকিৎসক ফাতেমা আক্তার ডলি তাকে রাত ১২টার সময় বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করার পরামর্শ দেন। ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীরা জানান, রুবেল ধর্ষিতাকে জরুরী কথা শোনার জন্য মীরা বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে সেলিনার সহযোগিতায় তাকে ৬/৭ জনে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে পেন্সিল ব্যাটারী প্রবেশ করিয়ে দেয়। সেলিনার সহযোগিতায় তার বাসায় পৌছানো থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় বলে সেলিনা বেগম স্বীকার করলেও পুলিশ তাকে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়। গণধষর্ণের ১ মাস পর পার হলেও পুলিশ ধর্ষকদের এখনো আটক করতে পারেনি।
অপরদিকে নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শাহিনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর পুলিশের উপর মরিচের গুড়ি মেরে, কামড়িয়ে হাতকড়া পড়া অবস্থায় আসামী ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এতে ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম, গোবিন্দ, হাবিব, এএসআই শামিম, ও কনেষ্টবল পলাশ আহত হয়। পুলিশ বাদী হয়ে আবার নতুন মামলা মঙ্গলবার রাতে ২৮ জনকে জ্ঞাত এবং ৪০/৫০ জন কে অজ্ঞাত করে মামলা নং ৭ তারিখ ৬/৯/১৬ দায়ের করে। এ সংবাদ লেখা পযন্ত শাহিনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ । চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ম. এনামূল হক আরো জানান, শাহিনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ সে পলাতক ছিল।
অপর ইয়াবা ও গাজঁ আমদানী কারক রুবেল এখন পযন্ত পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এছাড়া রুবেল ঢাকার সদর ঘাটে লেবারের কাজ করার সুবাধে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যার সাথে জড়িয়ে পড়ে এলাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসে। উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নে এসেও সে থেমে নেই। ঢাকার তৈল ঘাটের লিটন নামক এক লেবারের মাধ্যমে লঞ্চে করে ভোলার ২টি উপজেলার ৪টি থানার বিভিন্ন ঘাটে লঞ্চ থেকে বাহকের মাধ্যমে পাচার করে মাদক সেবীদের হাতে পৌছে দেয়।
সম্প্রতি শশীভূষণ থানা পুলিশের অভিযানে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে। সোমবার উত্তর চর মঙ্গল জোর মসজিদ সংলগ্ন ৪ নং ওয়ার্ডের বেচু সরদার বাড়ী এলাকা থেকে থানা পুলিশ আটক করে। এস,আই গোলাম মাওলা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী কামালের স্ত্রী পারভীন ওরফে নূরতাজকে আটক করা হয়। এসময় নূরতাজের কাছে ১২ পিজ ইয়াবা ও ৭০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা জানান, আটক পারভীন বেগম রুবেলের মাদক ব্যবসায়ী । এঘটনায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফএইচ