বুধবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দৌলতখানে ভূমিদস্যুর তাণ্ডবে দিশেহারা একটি অসহায় পরিবার
দৌলতখানে ভূমিদস্যুর তাণ্ডবে দিশেহারা একটি অসহায় পরিবার
এইচ এম নাহিদ: ভোলা সদর উপজেলার দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নে ভূমিমদস্যু গিয়াসবাহীনির তাণ্ডবে দিশেহারা এক রিক্সা চালকের পরিবার। গত ১৬ বছর পর্যন্ত প্রায় ৩০ লক্ষটাকার জমি এই পরিবারটির কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে ওই বাহানী। এক সময়ের স্বচ্ছল পরিবারটি আজ রিক্সাচালিয়ে জীবনকে টেনে নিচ্ছে। জমির দাবী নিয়ে দেন-দরবারের অপরাধে বার বার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছ থেকে পায়নি এক’তিল আশ্রয়। বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের সার্জারী ওর্য়াডে একরকম চিকিৎসাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন ছেলে রহিম ও মেয়ে মেহেরুন।
অভিযোগের সুত্র থেকে জানা যায়। ভোলা সদর উপজেলার দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাকোপা গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের সফিজউদ্দিন হাজী বাড়ীর মৃত রফিকুল ইসলামের পরিবারের সাথে এই ঘটনা ঘটে। ২০০১ সালে রফিক মারা যায়। রেখে যায় স্ত্রী নুরজাহান বেগম, পুত্র আব্দুর রহিম, রুবেল ও কন্যা মেহেরুন, খায়রুনকে। নাবালক সন্তানদের নিয়ে বিধবা নুরজাহান দিশেহারা । পরিবারটির অসহায়ত্বর সুযোগ নিয়ে স্থানিয় ভুমিদস্যু গিয়াস ও তার সাংগ পাংগরা তাদের ১৯ শতাংশ জমি জবর দখল করে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। জমির দাবী নিয়ে বারবার গিয়াসের কাছে ধরণা দিলে গিয়াস মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতো। গত এপ্রিলের ১৮ তারিখ গিয়াস প্রকাশ্য দিবালোকে নুরজাহানকে নির্যাতন করে। সেদিন ঘটনাটি নিয়ে একটি সিআর মামলা হয়। যাহার নং-৭৭/১৬। এই ধারাবাহীকতায় গত ৫ তারিখ মামলা না তোলার কারনে গিয়াস, সুমন, আজগর,জয়নাল জোটবদ্ধ হয়ে পরিবারটির উপর অমানষীক নির্যাতন চালায়। এতে ঘটনাস্থলে গুরুত্ব আহত হয় বিধবা নুরজাহান, ছেলে আব্দুর রহিম ও কন্যা মেহেরুন আক্তার। গিয়াসবাহীনির এই তা-বে স্থানীয় মোড়লরা দর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানাযায়।
স্থানিয়দের সাথে আলাপ করে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
ঘটনার অভিযুক্ত বাহীনির প্রধান, গিয়াসের সাথে আলাপ করলে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন।
চরখলিফা ইউনিয়ন চেয়রম্যানের সাথে ঘটনার ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।
এফএইচ