ঈদকে সামনে রেখে ভোলায় মাদকের জমজমাট ব্যবসা

আদিত্য জাহিদ : কোরবানী ঈদকে সামনের রেখে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থানা গ্রাম গঞ্জে ইয়াবা গাজাঁর ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তরুন থেকে শুরুকরে বিভিন্ন বয়সী মাদক সেবীরা এসকল নেশায় আসক্ত হওয়ার কারনে আমদানী কারক ও খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। থানা পুলিশ ও ডিবি মাঝে মাঝে সেবনকারীদের আটক করলেও আমদানীকারকরা সবসময় রয়ে যাচ্ছে অধরা। হাত বারালে পাওয়া যাচ্ছে অনায়াসে মাদক। ধ্বংশ পথে চলছে যুব সমাজ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা লঞ্চ টার্মিনালে লিটন (ঘাট লেবার) নামক পাইকার  ভোলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার চালান তৈল ঘাট থেকে তুলে দিলে লঞ্চের কেবিন বয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে জেলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুরঘাট, গজারিয়ার খাল, কচুখালী, ঘোষের হাট, বকসী এলাকায় পৌছে। এসকল এলাকা থেকে পাইকার জেলার বিভিন্ন স্থানে পরবর্তীতে নিরাপদ সুযোগ বুঝে বিক্রেতার হাতে তুলে দেয়।

বিশ্বস্থ্য সুত্র জানান, সম্প্রতি ৫ হাজার পিচ ইয়াবা ও ১৫ কেজি গাজাঁ এলাকায় আমদানী করার পর দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ ২ সেবীকে ইয়াবা সহ আটক করেন। ভোলার ডিবি অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রেতাকে ৭০ পিচ ইয়াবা সহ আটক করে মাদক দ্রব্য আইনে আদালতে সোর্পদ করেছেন। এ সকল ঘটনার নেপথ্যে আমদানীকারক রুবেল  একসময় ঢাকার লঞ্চ ঘাটে লেবারের কাজ করার সুবাধে ( বর্তমানে ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক ) মাদকের চালান আনতে তার কোন প্রকার বেগ পেহাতে হয়না। চরফ্যাশনের চরমানিকা ইউনয়নের পশ্চিম মানিকা গ্রামের বেড়ীর ঢালে নির্জন বাড়ি হওয়ার কারনে স্থানীয়  চালান পৌছে যায়। এব্যাপারে অভিযুক্ত রুবেলের সাথে কথা বললে সে ইয়াবা সেবনের কথা স্বীকার করলেও আমদানী করার কথা অস্বীকার করেন।

এছাড়া তোফায়েল মাঝি (মার্কেট লেবার সর্দার)  চট্টগ্রাম থেকে শশীভূষণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বিআরডব্লিউটিএর বাসে করে চরফ্যাশন শশীভূষণ ইয়াবার চালান প্রেরণ করার কথা শশীভূষণ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বীকার করলেও বড় ধরনের কোন চালান আটক করতে পারেনি।

অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে রাতে ছোট মাাদকের আসর বসে। নজরুল নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও এক ইউপি সদস্য সত্যতা স্বীকার করেন। চলতি বছরে দুলারহাট নামক বাজার থেকে পুলিশ গাজাঁ ইয়াবা সহ মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের আটক করেছে। চরফ্যাশন পৌর যুবলীগের সম্পাদক খুলনার মাদক চালানের সাথে জড়িত থেকে বাজারজাত করার এক পযার্য়ে  নিখোঁজ হয়। আজ ৩ বছর অতিবাহিত হলেও তার সন্ধান মেলেনি। এদিকে কোরবানী ঈদকে সামনের রেখে ভোলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম গঞ্জে ইয়াবা গাজাঁ ব্যবসায়ীরা আবারো মাথা চরা দিয়ে উঠেছে।

এফএইচ