সোমবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে আদালত থেকে আইনজীবিকে ধরে নিয়ে হামলা
চরফ্যাশনে আদালত থেকে আইনজীবিকে ধরে নিয়ে হামলা
এস,ইউ সোহেব: ভোলার চরফ্যাশনে আদালতের বারান্দা থেকে আইনজীবিকে ধরে নিয়ে হামলা করেছে ক্যাডাররা। সোমবার সকাল ১১টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা আদালত চত্বরের সামনে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আইজীবিদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
আহত আইনজীবি এ্যাড. হজরত আলী হিরণ অভিযোগ করে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার আইনজীবি তিনি ও এপিপি আমিনুল ইসলাম সরমান। গত কয়েকদিন আগে আব্দুর রাজ্জাক হত্যায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের বাদ দিয়ে সার্জসিট দেওয়া প্রদান করা হয়। সোমবার ছিল মামলার ধার্য তারিখ। আমি ও এপিপি আমিনুল ইসলাম সরমান বাদী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে সার্জসিটের বি পক্ষে বাদীর দেওয়া নারাজী দরখাস্ত আদালতে প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছি লাম। এঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ হোসেন ইমন ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মন্জুর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে আদালতের বারান্দা থেকে টেনে হিচড়ে ধরে নিয়ে রাস্তার উপরে ফেলে এলোপাথাড়ি ভাবে হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এতে আমার চোখ সহ সম্পন্ন শরীল থেতলে দেয়। এসময় মামলার সকল কাগজ পত্র ও আমার ব্যবহিত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এ্যাড.হিরণ। তিনি আরো বলেন,পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতাল আনা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাবেন বলেও জানান।
নাম প্রকাশ না করার সত্যে এক আইনজীবি বলেন, আমরা আইন পেশায় কাজ করি। আজ আমাদের ও নিরাপত্তা নেই। উপজেলার আলোচিত ঘটনা আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলা প্রকৃত আসামীদের সার্জচিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদীর সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে না রাজি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এর জের ধরে আইনজীাবদের উপর হামলা করা আসলে দুঃখজনক।
এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ হোসেন ইমনের ব্যবহীত মোবাইল ফোনে বাবার চেষ্টা করেও কল রিসিভর্ড না করার তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চরফ্যান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খবর পয়ে তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে পাঠানো হয়। ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলে, তিনি আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলা আইনজীবি। পুলিশ যাওয়ার আগে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কেবা করা হামলা করেছেন তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
এমি