বৃহস্পতিবার ● ২৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » বোরহানউদ্দিনে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সোয়া চার লক্ষ ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার অসাধূ কর্মকর্তাদের
বোরহানউদ্দিনে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সোয়া চার লক্ষ ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার অসাধূ কর্মকর্তাদের
স্টাফ রিপোর্টার: বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৮৫ জন সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের টাইমস্কেল, বর্ধিত বেতন নির্ধারণ ও ফিক্সেশন করার জন্য ৯ টি ইউনিয়নে ৮৫ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০০ করে ৪২৫০০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদ্য পিআরএল এ যাওয়া শিক্ষক অরবিন্দু দে সহ কয়েক জন অসাধূ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আঃ কুদদূস এর কাছে হাতে নাতে ধরা পরে।
জানা গেছে, জম্মাষ্টমী উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আঃ কুদদূস রং মিস্ত্রীর কাজ দেখার জন্য বিকাল ৩ ঘটিকায় তার নিজ কার্যালয় যান। তখন কার্যালয়ের নিচ তলায় একাউন্স অফিসের অডিটর মোঃ হোসেন তাকে দেখে কম্পিউটার রুম বাইর থেকে ছিটকানি লাগিয়ে দেয়। ইউএনও‘র নিকট বিষয়টি সন্দহজনক মনে হওয়ায় তিনি সংগীয় অফিসের অন্য দুই জন লোককে নিয়ে ঐ অফিসে গিয়ে কম্পিউটার কক্ষ খোলা হলে সেখান থেকে দুইজন প্রাইমারী শিক্ষক নুরুন্নবী ও ফিরোজকে দেখতে পায় । তারা সেখানে কি করে এমন প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল । অতঃপর ধীরে ধীরে খবর পেয়ে শিক্ষক নেতা, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত হন । সকলের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে ওই সকল শিক্ষকরা জানান, তারা উপজেলার ৮৫ জন প্রাইমারি শিক্ষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৪২৫০০০ টাকা নিয়েছেন। একাউন্স অফিস থেকে বলা হয়েছে কাজ করাতে ঢাকায় টাকা দিতে হবে । অতঃপর সহজ সরল গ্রামের এসব শিক্ষকদের কাছ থেকে এই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । এই অপকর্মে সর্বাত্মক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে অডিটর মোহাম্মদ হোসেন। আবশেষে নির্বাহী অফিসার মোঃ আঃ কুদদূস এর চাপে পরে ওই অসাধু শিক্ষক ও অডিটর মোহাম্মদ হোসেন স্ট্যাম্পে লিখে দিয়ে গেছে আগামী ৫ সেপ্টম্বর বিকাল ৫ ঘটিকার মধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মাঝে ফেরত দেওয়া হবে । এদিকে এসকল অন্যায়ের প্রতিরোধ করায় নির্বাহী অফিসার মোঃ আঃ কুদদূসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এফএইচ