শুক্রবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » মনপুরায় অপহৃত ৫ মাঝি উদ্ধার
মনপুরায় অপহৃত ৫ মাঝি উদ্ধার
মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরার মেঘনায় অপহৃত ৫ মাঝিকে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। শুক্রবার দুপুরের দিকে কোস্ট গার্ডের অভিযান টের পেয়ে অপহৃতদের হাতিয়ার গাইাছসা চরে মাঝিদের রেখে পালিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে মাঝিরা মেঘনায় মাছ ধরা ট্রলারকে ইশরা দিলে তারা চরে এসে মাঝিদের উদ্ধার করে। অবশেষে অপহরনের ১২ঘন্টা পর ৫ মাঝি উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের পুর্ব পাশের বদনা চর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে নেছার মাঝি,খোরশেদ মেম্বার মাঝি,ফারুক মাঝি,জাহাঙ্গীর মাঝি ও জাফর মাঝি।
উদ্ধার হওয়া মাঝিরা বলেন,হাতিয়ার জলদস্যু আলাউদ্দিন, কৃঞ্চ ও আরিফ বাহিনীর লোকজন দেশীয় অ¯্র ও বন্দুক তাক করে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন । পরে প্রতি ট্রলার থেকে ১জন মাঝিকে হাতিয়া উপজেলার গাইছসা চরে নামক স্থানে জিম্মি করে মারধর করেন। তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার জন্য বলেন। মুক্তিপনের টাকা না পেলে তাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। ভয়ে ও আতংকে আমরা পরিবারের কাছে মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার জন্য বলি। মুক্তিপনের ১ লক্ষ টাকা জলদস্যুদের দেওয়া বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
কোস্টগার্ড অভিযানের খবর জানতে পেরে জলদস্যুরা তারাহুরা করে নদীর পারে আমাদের ছেড়ে দেয়। জলদস্যুরা কোস্ট গার্ডের অভিযানের ভয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। আমরা মাছ ধরা ট্রলার দিয়ে দেশে ফিরে আসি। পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। জলদস্যুদের ভয়ে জেলেরা কিছুই বলতে চাচ্ছেনা। একপর্যায়ে জলদস্যুদেরকে দেওয়া টাকার কথা অস্বিকার করেন মুক্তি পাওয়া জেলেরা।
এব্যাপারে রামনেওয়াজ ঘাটের মতস্য আড়তদার আলমগীর মেম্বার বলেন, কোস্ট গার্ডের অভিযানের টের পেয়ে জলদস্যুরা আমাদের ৫ মাঝিকে চরে রেখে পালিয়ে যায়। আমাদের মুক্তিপনের কোন টাকা দেওয়া লাগেনি। মাঝিরা দেশে ফিরে এসেছে। তারপরেও জেলেদের মাঝে আতংক কাটেনি। জলদস্যুদেরকে মুক্তিপনের দেওয়া টাকার কথা অস্বীকার করেন আড়তদার আলমগীর মেম্বার। মুক্তিপনের টাকার বিষয় তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন খান বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জেলেরা দেশে ফিরে এসেছে।
এব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ড প্রধান লেঃ কমান্ডার ওমর ফারুক জানান,আমর নের্তৃত্বে মাঝিদের উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের উদ্ধার অভিযানের কথা জলদস্যুরা জানতে পেরে মাঝিদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে। আমরা জলদস্যুদের ধরার অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
এসএইচ/এসইউ/এফএইচ