শুক্রবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনের জেলে পল্লীতে হতাশা! ঋণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক জেলে
চরফ্যাশনের জেলে পল্লীতে হতাশা! ঋণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক জেলে
আদিত্য জাহিদ: ভোলার চরফ্যাশনে সরকার নিবন্ধিত জেলেদের জালে ইলিশের ভর মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ার কারনে জেলে পল্লী গুলোতে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে। আড়ৎদারের দাদনের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে টাকা পরিশোধ না করতে পেরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
চর মানিক ও চরকুরীর জেলে পল্লীল রেহান উদ্দিন মাঝি, কাশেম মাঝি, আবুল মাঝি, আ.মন্নান মাঝি ও মো.মিজান মাঝি সহ একাধিক জেলে জানান, বৈশাখ মাস থেকে ইলিশের ভর মৌসুম থাকলেও তারা মহাজন থেকে জাল, তৈল, খাবার, নিয়ে বারবার নদীতে গিয়ে শুন্য হাতে ফিরে আসায় মহাজনের দেনা পরিশোধ করতে পারেনি। এছাড়া অনেকে স্থানীয় বে-সরকারী অর্থপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে চর মানিকা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন মাঝি, সালাউদ্দিন মাঝি, মন্নান মাঝি, চৌধুরী মাঝি, ইউছুফ মাঝি, জলিল মাঝি, ভুট্টু মাঝি,চরকুকরী মুকরী ইউনিয়নের আবদুস সালাম মাঝি ৩ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পযর্ন্ত প্রত্যেকে দেনার ভয়ে বাড়ি ভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আবদুল আলী নামের আরেক মাঝি জানান, বর্তমান ইলিশের মৌসুমে তিনি তিন লাখ টাকা দেনার ভার বহন করে এলাকায় বাস করছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারী হিসেব মতে উপজেলায় একুশ হাজার দুইশত দশজন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তবে বে-সরকারী হিসেবে ২৫ হাজার জেলে রয়েছে। বাকী জেলেরা নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছে।
তিনি আরো জানান, জীববৈচিত্র, আবহাওয়া, ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিগত ২ বছর যাবৎ ইলিশের ভর মৌসুমে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমানে রূপালি ইলিশের দেখা মেলে না। এদিকে দেনার ভয়ে পালিয়ে যাওয়া জেলেদের ব্যাপারে তার কাছে তেমন কোন তথ্য নেই বলে জানান তিনি।
এফএইচ