ভোলার মেঘনার উপকূলে সক্রিয় জলদস্যুরা, আতঙ্কে জেলেরা

আদিত্য জাহিদ: ইলিশের ভরমৌসুম চলছে তার পরেও জেলেদের নদীতে যেতে শঙ্কায়। কারণ একটাই জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১৫ দিনে মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ৫টি ডাকাতি ৪ জেলে অপহরণসহ লুট হয়েছে ৩টি ট্রলার। মুক্তিপন দিয়ে জেলে ও ট্রলার উদ্ধার করলেও যেন শঙ্কা কাটছে না জেলেদের।
জেলেদের জালে রূপালি ইলিশ দেখে দস্যুদের চোঁখ বড় হয়ে উঠেছে। জেলার উপকূল মেঘনায় বৃষ্টি পড়ার কারণে ইলিশ ধরা পড়লেও ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জলদস্যুদের উপদ্রব ও চাঁদাবাজী। দ্বীপ জেলা ভোলার উপকূলের ১৯০ কিলোমিটার জলসীমা এখন আতংকের জনপদে পরিণত হয়েছে।
জেলে সুত্র জানা গেছে, একদিকে পূর্ণিমার আগাম জোঁ কারণে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরছে। ঠিক তখনি ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই দস্যুতা ও চাঁদাবাজী বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে তারা। তাদের কাছে মেঘনায় হাতিয়ার নিজাম বাহিনী, ভোলার ফোরকান বাহিনীর পর আবার নতুন জলদস্যু নদীতে চাঁদাবাজী সহ ডাকাতি শুরু করছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
দস্যুদের কারনে নদীতে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। জেলেদের অভিযোগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল না থাকায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে দস্যু দমনে সক্রিয় রয়েছে বলে দাবী প্রশাসনের।
উপকূলের বেশ কয়েকটি মৎস্যঘাট ঘুরে জানা গেছে, চরফ্যাশনে সামরাজ, ঢালচর, কুকরী, মনুরা, কচ্ছপিয়া, জাহানপুর, চেয়ারম্যান হাট, নিউটন ভেড়ী ভাঙ্গা, কলমী,  স্লুইজ ঘাট, পাতিলা, খেজুরগাছিয়া, বেতুয়া, আড়ৎদার, পাইকার ও জেলেদের হাকডাকে মৎস্য ঘাটগুলো মুখরিত হলেও জলদস্যুদের উপদ্রপ বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।
ঢালচর ঘাটের শাহে আলম মাঝি বলেন, পূর্ণিমার আগাম জোঁ কারণে জেলেদের জালে ইলিশ পড়া শুরু করেছে। ঠিক তখনি ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই দস্যুতা ও চাঁদাবাজী বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে তারা।
বেতুয়া স্লুইজ ঘাটের নুরে আলম মাঝি বলেন, আষাঢ়-শ্রাবন মাস জুড়ে ইলিশের ভর-মৌসুম। কিন্তু মৌসুমের  শুরুতে জেলেদের জালে মেলেনি ইলিশ।  চলতি সপ্তাহ জুড়েই মেঘনার ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের। তারা ভাবছেন এবারের ঈদ কিছুটা অনন্দে কাটবে। কিন্তুু জলদস্যুদের ভয়ে মল্লারা নদীতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে দস্যু দমনে সক্রিয় ও নদীতে নিয়মিত টহল রয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড ।
এফএইচ