ভোলায় গণধর্ষণের শিকার হয়ে অচেতন অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা সদরে গণধর্ষণের শিকার হয়ে অচেতন অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গরুর হাটের টলঘর থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. টিটু গত ৪ থেকে ৫ দিন আগে ওই তরুণীকে ওই ওয়ার্ডের গরুহাটের আলোচিত নারী রোশনেআরা রুশির বসত ঘরে আনে। সেখানে কিছুদিনের জন্য রোশনে আরা রুশীর ঘরে রেখে টিটু ও তার সাঙ্গপাঙ্গোরা পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে তারা জানায়। একই ঘরে থাকতো রুশীর নেশাখোর ছেলে লিটন। গত ২ দিন আগে টিটুকে ফাঁিক দিয়ে লিটন মেয়েটিকে নিয়ে উধায় হয়ে যায়। ঘটনা জেনে টিটু লিটনের মা রুশীকে চাপ দিলে মঙ্গলবার ভোরে ধর্ষক লিটন মেয়েটিকে গরুর হাটের টলঘরে অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। টিটু অচেতন তরুণীকে নোয়াখালী থেকে এনেছে বলে স্থানিয়রা সাংবাদিকদের জানায়। পরে স্থানিয়দের সহযোগীতায় পুলিশ মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।

এব্যাপারে রোশনেরা রুশী বলেন, আমি এই সবের কিছুই জানিনা। তিনি এও বলেন আমার ছেলে লিটন খুব ভাল ছেলে, শুধু একটু গাঁজা খায়। সে এই ঘটনা ঘটাতে পারেনা। এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন টিটু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খাইরুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চি করে বলেন, মেয়েটিকে পরিত্যাক্ত ও গুরুত্ব আহত অবস্থায় ভোলা গরুরহাট পুলিশ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ২ জন সিপাহির তত্বাবধায়নে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি সুস্থ হলে তার বয়ানের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচএমএন/এফএইচ