দৌলতখানে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় ফেরারী হয়ে বেড়াচ্ছে বাপ ছেলে

এইচ এম নাহিদ: গত ২২ শে মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করায়, আড়াই মাস ফেরারী ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুর রব ও তার স্কুল পড়ঁ–য়া ছেলে রাজিব। একই ঘটনার কারণে অমানবিক অত্যাচারের স্বীকার আব্দুরব ও তার পরিবারের সদস্যরা।  না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ওই পরিবারটি। অন্যদিকে ফেরারের কারণে শিক্ষা জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার একমাত্র ছেলে রাজিব।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলার দৌলতখানের পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গত ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনের পরের দিন বুধবার সকাল ১১ টায় একই এলাকার স্বতন্ত্র পরাজীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান ভুট্টো ও তার ২০-৩০ সহযোগী, স্ব-সস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই ওয়ার্ডের গরু ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রবের বসতঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়, আব্দুর রব ও তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ভাবে সবাইকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে আব্দুর রবের বৃদ্ধা মা রাহেলা বেগম গুরুত্ব আহত হন। পড়ে স্থানিয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আব্দুর রব বাদী হয়ে দৌলতখান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা রুজ করেন। অভিযুক্তরা মামলার খবর জানতে পেরে আব্দুর রব ও তার ছেলেকে আসামী করে কাউন্টার মামলা দেয়। তাদের দেয়া মামলায় বর্তমানে আব্দুর রব ও তার ছেলে রাজিব ফেরারী আসামী অথচ আব্দুর রবের মামলার কোন কুল কিনারা এখনো মেলেনি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা আব্দুর রবের ছেলে রাজীবকে ২ দিন পর্যন্ত গুম করে রেখেছিল। পরে স্থানিয় এমপি আলীআজম মুকুলের কঠোর হস্তক্ষেপে রাজিবকে ফিরে পাওয়া যায়।

ঘটনার ব্যপারে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান ভুট্টোর সাথে আলাপ করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের সাথে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, ভুট্টোর পক্ষে অটোরিক্সা মার্কায় চেয়ারম্যান নির্বাচন না করায় এবং আব্দুর রব নৌকা মার্কার নির্বাচন করায় ভুট্টোর ও তার দল-বলরা তাকে এবং তার পরিবারকে এই এলাকা থেকে নিশ্চিন্ন করে ফেলার চেষ্টা করে ছিল। দলের কথা শুনতে গিয়ে আজ তারা এলাকায় থাকতে না পেরে ফেরারী হয়ে আছেন।

এব্যাপারে পশ্চিম জয়নগরের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমপি মহোদয়ের কথা মত আব্দুর রব নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট করায় স্বতন্ত্র প্রার্র্থী সন্ত্রাসী ভুট্টো ক্ষিপ্ত হয়ে তার বসতঘর হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং তার একমাত্র ছেলে রাজিবকে খুন করার উদ্দেশ্যে গুম করে। পড়ে আমাদের এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রব আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ট কর্মী। শুধু মাত্র দলের সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে তার উপর এই জুলুম করা হয়। আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে এ ঘটনার নিন্দা জনাই ও দোষীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।