শুক্রবার ● ২২ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনের নীলকমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার একি দশা ?
চরফ্যাশনের নীলকমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার একি দশা ?
এ আর এম মামুন: ভোলার চরফ্যাশনের নীলকমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ক্লাস না করে দালালী ও প্রাইভেট বাণিজ্যে ব্যস্ত রয়েছেন। এতে বিদ্যালয়ের সাতশত ৮০ শিক্ষাথী কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০ টায় বিদ্যালয় গিয়ে রাসেল নামের এক শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী ইমদাদুল হক মিলনকে উপস্থিত পাওয়া যায়, প্রধান শিক্ষক জসিম, সহকারী শিক্ষক কহিনুর, মাহবুব হাসান অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষক রাসেলকে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস না করে পঞ্চশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায়। প্রাইভেট পড়–য়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ৯৩ জন শিক্ষার্থী তাকে ২০০ টাকা হারে দিয়ে প্রাইভেট পড়ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ে সকাল ৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষরা মাঝে মধ্যে ১২ থেকে ২ টা পর্যন্ত ক্লাস করেন। বেশির ভাগ সময় শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম স্কুলে না এসে তিনি শিক্ষা অফিসে থাকেন, অন্য শিক্ষকরা তাদের মনমত স্কুলে আসে যায়। তাদেরকে নিয়মিত ক্লাস করার কথা বললেও তারা কথা শোনেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন স্কুলে না এসে নিয়মিত শিক্ষা অফিসের দালালী কাজে ব্যস্ত থাকেন, অপর শিক্ষরা প্রাইভেট, ব্যবসা -বাণিজ্য ও গৃহহীনের কাজে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক জসিমের বিরুদ্ধে স্লিপের টাকা, শিক্ষা উপকরণের টাকা এবং বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবী করেন, ডেপুটেসনে শিক্ষা অফিসে কাজে রয়েছেন। তবে ডেপুটেসনের কোন প্রমাণ দিতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার মোসলেহ উদ্দিন জানান, কোন শিক্ষক ছুটি নেননি। তারা বিদ্যালয়ে থাকার কথা। অনপস্থিত শিক্ষদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খোন্দকার জসিম আহম্মদ বলেন, প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে অফিস আছেন, বাকিদের স্কুলে থাকার কথা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।