ঢাকা- ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের দুর্ভোগের চরমে

সিরাজ মাসুদ: বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলা । এই জেলার জনগণ অতীতে নৌদূর্ঘটনার শিকার হয়ে স্বজনহারনো ব্যথা বুকে নিয়ে বেঁচে থাকলেও বর্তমানে লঞ্চ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল সঠিক সময়ে আনা নেওয়া করতে যাত্রীদের দূর্ভোগের শেষ নেই।

 সরেজমিনে গিয়ে জান াযায়, চরফ্যাসন উপজেলার ঘোষেরহাট - ঢাকা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভাগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এই রুটে দিয়ে কর্ণফুলি -৩ ও নিউ সাব্বির-৩ লঞ্চগুলো নিয়মিত ঘাট না দিয়ে লালমোহন এসে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। যার কারণে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের ভোলা রুট দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়। এতে একদিকে অর্থ নষ্ট অন্যদিকে সময়ের প্রয়োজন হয়ে পরে। মাঝেমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকেই সঠিক সময়ের মধ্যে ঢাকায় যেতে পারে না। যার কারণে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে হয় অনেককে।

একাধিক যাত্রীদের সাথে জানতে চাইলে তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, “বাংলাদেশের মধ্যে আমাগো ভোলার মানুষ নদী দিয়া বেশি যাতায়েত করে। হেই কারণে আমাগো ভোলা দিয়ে ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল বেশি করে।  কয়েকমাস আগে আমাগো ঘোষেরহাট দিয়া কর্ণফুলি-৩ ও সাব্বির -৩ আসা যাওয়া কইরা এখন আর ঘাট দেয় না। হের লাইগা আমরা বেশি টেয়া দিয়া ভোলা দিয়া ঢাকায় যাইতে হয়”।

নীলকোমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিখন মিয়া বলেন, এখানকার লঞ্চগুলো অনিয়মিত হওয়ার কারণে আমাকেও ভোলা দিয়ে ঢাকা যেতে হয়।

এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ বলেন,  বিষয়টি আমরা শুনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি। খুব শিঘ্রই এই  সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশকরেন।