মঙ্গলবার ● ৫ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ভোলায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কোষাধক্ষ্য মো. ফারুকের বিরুদ্ধে ট্রাস্টের কোন হিসাব নিকাশ প্রদান না করে ফান্ডের প্রায় কোটি টাকার মতো অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। এদিকে দ্রুত অর্থ ফিরোত ছিয়েছেন সদস্যরা। তা না হলে আইনের আশ্রয় যাবেন বলে নির্দিষ্ট সময় বেদে দেন ট্রাস্টের সকল সদস্য বৃন্দ।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য সহকারীর সদস্যদের নিজের সুযোগ-সুবিধার জন্য মাসিক হারে সর্বনিম্ম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চো ২,০০০ হাজার টাকা করে জমা রাখে সদস্যরা। সেই টাকা থেকে নিজেরদের মধ্যেই ঋণ প্রথা চালু থাকে। কিন্তু সদস্যরা যখন ওই ফান্ডের টাকা থেকে ঋণ বা জমা রাখতো তাদেরকে কোন ধরনের রিসিট না দিয়ে অর্থ আদায় করতো এ ট্রাস্ট্রের কোষাধক্ষ্য মো. ফারুক। কিন্তু যখনই তার কাছে হিসাব চাওয়া হতো তখনই সদস্যদের সাথে বিভিন্ন তাল বাহানা করে হিসাব দেওয়া থেকে এড়িয়ে যেতেন। এমনকি যারা ইকটু বেশী বাড়াবাড়ী করতো তাদের ফান্ডের টাকা থেকে কিছু টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে হিসাব দেয়া থেকে বিরত থাকতো।
স্বাস্থ্য সহকারী হোসেন,আবু-বক্কর সিদ্দিকী,বশীর উদ্দিন, কল্পনা কর্মকার জান্নাতুল নাইম,শাহনেওয়াজ, আব্দুল হাই সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ভোলা সদরের স্বস্থ্য সহকারী নিয়ে এই ট্রাস্ট্রে ফান্ডে প্রায় কোটি টাকা টাকার মতো জমা রয়েছে। আমাদের জমাকৃত টাকা থেকে আমরা নিজেরাই ঋণ নিয়ে থাকি। আমাদের বেতনের টাকা থেকে মাসিক হারে সেই টাকা কেটে রেখে পরিশোধ করা হতো। আমাদের প্রতি সদস্যদের সেবিঞ্চ সঞ্চয় রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আমাদের কিস্তি ও সঞ্চয়ের কোন হিসাব দেয়া হচ্ছেনা। এমনকি যাদের ঋণ পরিশোধ করা হতো তাদের কাছ থেকেও মাসিক বেতন থেকে টাকা কেটে রাখেন তিনি। শুধু তাই নয় যারা ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিতো তাদের কাছ থেকে ১০% হারে টাকা কেটে রাখা হতো। বর্তমানে এ ট্রাস্ট্রের সভাপতি ও সেক্রেটারীকে ম্যানেজ করে কোন হিসাব দিচ্ছেনা ফারুক। তাই দ্রুত ট্রাস্ট্রের সকল হিসাব না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাবে এই ট্রাস্ট্রের সদস্যরা।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কোষাধক্ষ্য মো. ফারুক বলছে ভিন্ন কথা, ২০০৩ সালে এই শুরু করে ট্রাস্টটি। তারপর থেকে সদস্যরা ঠিক মতো ঋণ নিয়ে সেই টাকা না দেওয়ায় হিসাব দিতে ইকটু দেরী হয়েছে। এছাড়াও ২০১৬ সালে মার্চে আমাদের ট্রাস্টের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আমার বাবা অসুস্থ থাকায় হিসাব দিতে একটু বিলম্ব হয়েছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে সব হিসাব দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো বলে তিনি জানান।