বুধবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে বাল্য বিবাহের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়!
চরফ্যাশনে বাল্য বিবাহের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়!
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ১০ শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রীর বাল্য বিবাহের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একত বাল্য বিবাহ আবার আদালতে যৌতুক মামলা। ফয়সালা দেয়ার জন্যে উভয় পক্ষকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশ প্রদান। এই ব্যপারে আলাউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুলাহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৬ সালে পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী ছাত্রীর ও মাওঃ আবুল বাশারের কন্যার সাথে একই উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র অলিউদ্দিনের সাথে ১৪ বছর ৩মাস বয়সের ছাত্রীর সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ওই সময় উক্ত ছাত্রী আলিম(এইচ এসসি) পরীক্ষার্থী ছিল বলে জানিয়েছেন ছেলের পক্ষকে। এতে ছেলের পক্ষ বিবাহের কাজটি সম্পন্ন করেছে উৎসাহিত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে ছেলের পক্ষের। বিবাহের পর জানতে পারে উক্ত ছাত্রীর বয়স হয়নি। এ ব্যপারে ছেলের বড় ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে উপ-মন্ত্রী আলহাজ্জ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বরাবর আবেদন করলে বিষয়টি ৩সদস্যের নিকট ফয়সালার জন্যে দায়িত্ব অর্পণ করেন। ছাত্রীর পক্ষ উপস্থিত না হয়ে আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে আলাউদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দিয়ে বিয়ের বয়স হয়নি এ মর্মে অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে ১০১৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রীর রোলনং (বোর্ড পরীক্ষার) রোল- ২২১২৩০ রেজিষ্টেশন-১৩১৮৭৮৮২১৬ শিক্ষাবর্ষ-২০১৪-১৫ জম্ম তারিখ ০২মার্চ/২০০১ এবং কাবিনের তারিখ ৪জুন/১৫ইং তার বয়স ছিল ওই সময় ছিল ১৪ বছর ৩মাস। একজন মাদ্রাসার সুপার সচেতন হয়ে কিভাবে তার কন্যাকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ দিলেন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার ওই কন্যাকে দিয়ে আদালতে মামলাও করিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করলে তিনি আজ ২৫ ফেব্র“য়ারী/১৬ তারিখে ১৩৯(৬) স্মারকে তার দপ্তরে উভয় পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্যে নোটিশ প্রদান করেছেন। (উক্ত বিবাহের কাবিন করেছেন পৌর সভা ১,২ ও ৫নং ওয়ার্ডের ম্যারিজ রেজিষ্টার মাদ্রাসার সুপার মাও. মিনহাজুল ইসলাম মোক্তার)বর্তমানে ছেলে পরিবার বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের দাবী করেছেন প্রশাসরে কাছে।