সোমবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন, পাল্টা পাল্টি অভিযোগ
চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন, পাল্টা পাল্টি অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: বড় ধরনের কোন সংহিস ঘটনা ছাড়াই সোমবার ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সাথে বহিরাগতদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, মহিলা সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও বিএনপির এক কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শাকিল নামে এক যুবককে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের দায়ে এক বছরের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের আগেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদেরকে স্বর্তুস্ফুুত ভাবে লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। কিছু কিছু কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এ্যাজেন্টদেরকে দেখা যায় নি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাদ্রাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এজেন্ট সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রকাশ্যে ভোট না দেয়ায় রকিব নামের এক বিএনপি কর্মীকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ৬ নং ওয়ার্ডের আর্দশ মোল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে কোস্ট গার্ডের সাথে কাউন্সিলর প্রার্থী কুতুব জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই কেন্দ্রে দুপুরের পরে ব্যাপক বিশৃংখলা দেখা যায়। দুপুর ২ টার দিকে পৌর ১ নং সরকারী প্রাঃ বিঃ কেন্দ্রের পাশ্বে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মহিলা সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দুপুর আড়াটার দিকে ২ নং কেন্দ্রে জাল ভোটের চেষ্টা করলে কাউন্সিল প্রার্থীর ছোট ভাই মনির কে লাঠি পেটা করে পুলিশ কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ৫নং ওয়ার্ডের করিমজান মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রে মহিলা বুথে ডুকে প্রার্থীর পক্ষে পানির বোতল বিতরণ করে বোতল মাকার্য় ভোট চাওয়ার সময় সাকি (১৭) নামে এক যুবককে আটক করা হয়। পরে ভ্রামমান আদালতের সিনিয়র মেজ্রিস্টেট শিবলী নোমান এক বছরের কারাদ- প্রদান করেন । সাকিল পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ডের কামালের ছেলে। এদিকে বিকাল ৩ টার দিকে ৮নং ওয়ার্ডে মো. আবু জাহের ভূইয়া (উট) পাখি প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে জাল ভোট ও প্রকাশ্য চিল মারা সহ নানান অভিযোগ এনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদুল ইসলাম রাসেল নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. আবু জাহের ভূইয়া।
অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আ ন ম আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট ও সমর্থকদের বের করে দেয়া হয়েছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করে। তবে বিএনপির নেতাকর্মী ও ভোটারদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
অপর দিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী পরাজয় নিশ্চিত জেনেই অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিএনপি নিজেরাই তাদের এজেন্ট দিতে পারেনি।