রবিবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দৌলতখানে গৃহবধুর হত্যার ঘটনায় বিচারের আশায় ঘুরছে পরিবার: মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ
দৌলতখানে গৃহবধুর হত্যার ঘটনায় বিচারের আশায় ঘুরছে পরিবার: মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ
আদিল হোসেন তপু: ভোলার দৌলতখানে মদনপুর ইউনিয়ানে গৃহবধূ রুনা আক্তার (১৯) নিযার্তন করে হত্যার ঘটনার ১১ দিন পার হলেও বিচার পায়নি তার পরিবার। এই ঘটনার পরে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করতে চাইলেও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ। পুলিশ মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করার জন্য দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করেছে বলে জানায় পরিবার। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ানের ৬নং ওয়ার্ডের চরপদ্মা গ্রামের মো.মহসিনের ছোট মেয়ে রুনা আক্তার । স্থানীয় চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) লোকমান প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় যৌতুকের লোভে ২য় বিয়ে করে রুনা আক্তারকে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য লোকমান অমানষিক নির্যাতন করতো রুনার উপর।এতে করে অসহায় রুনার পরিবার মেয়ের সুখের আশায় গরু বিক্রি করে লোকমানকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। কিন্তু তাতেও খ্যান্ত হয়নি লোকমান। আরো যৌতুকের আশায় অত্যাচারের পরিমান আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে এতো নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে মৃত্যুার কোলে ডোলে পরে রুনা।
রুনার মা রোকেয়া বেগম জানায়, লোকমান আমার মেয়ের জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে।ওর প্রথম স্ত্রী থাকা সত্তেও আমার মেয়েটাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে অত্যাচার নির্যাতন করতো। লোকমান আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি ওর বিচারই চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি বিচারে আশায় দৌলতখান থানায় গেলে আমার মামলা নেয় নি পুলিশ। উল্টো লোকমাননের সাথে মিমাংসা করার কথা বলে। বর্তমানে লোকমান আমাদের পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। বলে “থানা পুলিশকে আমরা চালাই। আমি চৌকিদার আমার মামলা কে নিবো। তোগরে মামলা দিলে এলাকা ছাড়া করমু।”
এব্যাপারে রুনা স্বামী লোকমান জানান, আমি রুনাকে ভালোবেসে বিয়ে করছি। কি কারনে ও মৃত্যুা বরন করছে তা আমি কি করে বলবো। আর আমি কাউকে মামলার ভয় দেখাচ্ছিনা।
স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিন মাল বলেন, আমরা স্থানীয় পযার্য়ে বিষটি নিয়ে বসতে চেষ্টা করেছি। তবে সামনে ইউপি নিবার্চন থাকায় আমরা স্থানীয় ভাবে কিছু এখন পর্যন্ত করতে পারিনি। তবে আইনের বিষয় আইন আনুক ভাবে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করলে ভালো হয়।
এব্যাপারে দৌলতখান থানার (ওসি) বলেন, গৃহবধূ রুনা আক্তার স্বামী নির্যাতনে মার গেছে নাকি যৌতুকের জন্য সে আতœহত্যা করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা। তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলেছিলো বলে স্থানীয় জানায়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে, পোস্ট মার্টাম রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা সে কিভাবে মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপ মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর পুলিশ মামলা নিচ্ছেনা কথা সত্য নয়। রুনা পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে বলে জানান ওসি।