শুক্রবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে কারিগরির কম্পিউটার পরীক্ষায় নকলের মহাৎসব
চরফ্যাশনে কারিগরির কম্পিউটার পরীক্ষায় নকলের মহাৎসব
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের কম্পিউটার ৬ মাস মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও নকলের মহাৎসব চলচে। সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত পরীক্ষার চলার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১৫ মি.পর পরীক্ষার্থীর উত্তর পত্র নেওয়া হয়। অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে কেন্দ্র সচিব মো. সাইফুল ইসলাম এ সুবিধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার সোয়া ১০টার সময় সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন করিমজান মহিলা কামিল মাদ্রাসার অবস্থিত কেন্দ্রে মোট ৪১৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল। তার মধ্যে ৫৭ জন অনুপস্থিত রয়েছে। বাকী ৩৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। নকলের সুবিধা দেওয়ার নামে জন প্রতি ২০০ টাকা করে মোট ৭১ হাজার ৪০০ টাকা উত্তোলন করেছেন কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম। মোট ৬টি কক্ষে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থীর নকল প্রতিরোধ ও আইন শৃংখলার জন্যে ইউএনও‘র প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আবু ইউসুফ জানান, একার পক্ষে এত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় নকল প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আরো কর্মকর্তা প্রয়োজন ছিল। কেন্দ্রের মধ্যে করিমাজান কামিল মাদ্রাসায় নিচ তলায় ৪টি ও দ্বিতল ভবনে ২টি সহ মোট ৬টি কক্ষ ছিল ৬মাস মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সের পরীক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করা শর্তে জনৈক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কাছ থেকে জন প্রতি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্যে নেওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। আর নকলের সুবিধা দেয়ার জন্যে ২শ টাকা হরে নিয়েছে। প্রশিক্ষণে আমাদেরকে কিছুই শিখানো হয়না। ফলে পরীক্ষার সময় আমাদের নকলের আশ্রয় ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। কম্পিউটার ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের নামে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চরফ্যাশন সরদ সহ আনাচে-কানাচে গড়ে উঠা ব্যাঙের ছাতার মত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ।
শুক্রবার পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার প্রশ্ন বাহিরে পাঠিয়ে কারেকশন করে ভিতরে সরবরাহ করা অবস্থায় পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ কারেকশনকৃত প্রশ্নটি পেয়ে সাথে সাথে ছিড়ে ফেলেন সবার সম্মুখে। এ ছাড়া তিনি পরীক্ষার্থীর কাছে থেকে একাধিক বই উদ্ধার করেন। ইউএনও‘র প্রতিনিধি আবু ইউসুফ জানান, কেন্দ্র পরিদর্শকের জন্যে আরো কর্মকর্তা প্রয়োজন। একার পক্ষ্যে সামাল দেয়া সম্ভাব নয়। কেন্দ্র সচিব সাইফুল্ ইসলামের অবহেলায় এই সকল অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যপারে কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকেরা যে নিয়ম করে তা আমরা মাথা পেতে নিব এমন কথা বলে এড়িয়ে যান।