বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দৌলতখানে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ
দৌলতখানে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ
দৌলতখান প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হারুন (৩০) নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। গত ১১ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে হারুন। সে একই গ্রামের কাঞ্চন ওরফে ভুট্টু সরদারের ছেলে।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সোমবার সকালে ওই কিশোরীর মামা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখার জন্য তার বাবা-মা নিজ গৃহ ত্যাগ করেন। এই সুবাদে পাশ্ববর্তী হারুন দিয়াশলাই খোজার অজুহাতে কিশোশীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার দিন বিকালে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক। এই ঘটনার ৩৪ ঘন্টা পর ১২ তারিখ স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সহযোগীতায় রাতে ধর্ষিতার পরিবার দৌলতখান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে ঘটনার পরপরই কেন আইনের আশ্রয় নিলেন না স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ষিতার বাবা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস ওরফে ইউনুস মেম্বার আমাদেরকে থানায় যেতে বারণ করেছিলেন। আমরা গরীব নদী ভাংগা মানুষ, মেম্বারের কথা অমান্য করব কিভাবে। অপরদিকে এলাকাবাসীরা বলছেন ধর্ষককে বাচাতেই যথা সময়ে ভিকটিমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপরে ইউপি সদস্য ইউনুসের সাথে কথা বললে তিনি তার ভূলের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা চেয়েছি এলাকায় বসে বিষয়টি মিমাংসা করতে। একটি ধর্ষণের ঘটনার বিচার কার্য ইউপি সদস্য করতে পারেন কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের সামনে থেকে তিনি সরে যান।
এব্যাপরে দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, আমি আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। আরো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ঘটনাটি ধর্ষণ না হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।