চরফ্যাশনের মাদক সম্রাট আরিফ শ্রীঘরে

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ৬নং ওয়ার্ডের মাদক স¤্রাট আরিফ হোসেনকে  ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করেছে পুলিশ। তবে যারা গাঁজা সরাসরি পাইকারী মূল্যে বিক্রির সাথে জড়িত তারা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহম্পতিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মাওলার নেতৃত্বে তার নিজ বাড়ি থেকে ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ আরিফ কে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে বৃস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত আরিফ হোসেন জানান, আমি আহম্মদপুর গ্রামের বশির বিল্লাহ ও মায়া নদী ব্রীজের সংলগ্ন মাদক সম্্রাট জহিরুল ইসলাম থেকে পাইকারি হিসাবে এই সকল মাদক ক্রয়-বিক্রয় করি। ৫‘শ গ্রাম গাঁজা ৬ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছি। বিক্রি কত নামবে এমন  প্রশ্নে তিনি বলেন, ১০ হাজার টাকা।

এলাকবাসী জানান, মাদক যারা সরাসরি প্রকাশ্যে যারা বিক্রি করে তারা রাজনৈতিক ছত্র ছাঁয়া রয়েছে। তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা অথচ ক্ষুদে ব্যবসায়ীকে আটক করে কি লাভ। মায়ানদীর ব্রীজের সংলগ্ন মাদক সম্রাট জহিরুল ইসলাম ঢাকা, যশোর বেনাপোল সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা, মাদক এনে চরফ্যাশনের বিভিন্ন স্থানে সাপ্লাই দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ রমজান রাতে শশীভূষণ থানার পুলিশ তাকে আটক করেছে। কাক ডাকা ভোরের যখন ওই সময় সকলে ঘুমিয়ে পড়েছে। নুরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে জহিরুল ইসলামকে শশীভূষণ থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয় বলে বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে। শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ সামছূল আরেফিন ওই সময় জানান, ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজসহ কয়েকজন নেতা আসায় আমি জহির কে ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।

চরফ্যাশন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মাওলা বলেন, আরিফকে ভোর ৪টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। মাদক আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।