বুধবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে সুতা ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে স্ত্রী’র অধিকার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সুতা ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে স্ত্রী’র অধিকার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন বাজার সুতা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্ত্রী‘র অধিকার নিয়ে প্রতারলার অভিযোগ তোলেছেন রসুলপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের আঃ মন্নানের কন্যা কহিনুর বেগম সাথী। তিনি সাংবাদিকদের কাছে এক লিখিত অভিযোগ করেণ। এঘনায় চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন পৌর সভা ৩নং ওয়ার্ডের আঃ হকের পুত্র মিজানুর রহমান(সুতা ব্যবসায়ী)‘র সাথে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ সম্পর্ক চলে আসছে। সম্পর্ক নিয়ে চলছে মন দেয়া-নেয়া। এক পর্যায়ে তাকে কাবিন বিহীন ঢাকার শনির আখড়া সাদ্দাম মার্কেটের একটি ভাড়ায় বাসায় জনৈক আলেম দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। ওই থেকে মিজানুর রহমান ঢাকায় তার ফ্লাইট বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করে। ওই ফ্লাটে সাথীর ছোট বোন ও বোন জামাই বসবাস করতো। পরবর্তীতে মিজানের বোন জামাইর বাসায় এক মাস পর্যন্ত স্ত্রীর অধিকার নিয়ে বাড়ি লালমোহনে কর্তারহাট চৌমাথায় বাড়ীতে বসবাস করেছে। বিষয়টি তার মা‘সহ আত্মিয় স্বজন জানেন। সাথীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণাংকারসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকা মিজানুর রহমান। স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার আশায় মিজনুর রহমানের বাসায় আসলে স্থানীয় চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী ছালাউদ্দিন, মিজানুর রহমানের দু‘বোন জামাই ইলিয়াছ ও নজরুল বিষয়টি ফয়সালা বাবৎ ৮লাখ টাকা সিন্ধান্তে নগদ ৫লাখ টাকা দিয়ে তাকে দুরে রাখে। সাথী আরো জানান, তিনি বিবাহ করেননি। পরে জানতে পারলাম তার স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। চরফ্যাশন বাজারে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হলে ওই সময় মিজানুর রহমান আবার কৌশলে সাথীর কাছ থেকে স্ত্রীর অধিকার দিবে এমন আশ্বাসে ৫ লাখ টাকাসহ আবার স্বর্ণাংকার নিয়ে যায়। স্ত্রীর অধিকার দেয়ার নাম করে একাত্রে বসবাসের ফলে সাথী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ৩০ডিসেম্বর মজুমদার ল্যাবরেটরী নামক ডায়গনষ্টিক সেন্টারের পরীক্ষায় তার প্রমাণ মিলে। সাথী স্ত্রীর অধিকার নিয়ে একাধিকবার ফয়সালা বসলেও কোন সুরাহ হয়নি বলে অভিযোগে উলে¬খ করেন। তাকে নিয়ে বর্তমানে নানান তালবাহানা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। বর্তমানে দীর্ঘ দু‘সাপ্তাহ যাবৎ তাকে কাবীন নামা ও স্ত্রীর অধিকার দেয়ার আশ্বাসে তাকে পথে পথে হাটাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবং বলে বেড়াচ্ছে আমার কাছে তোমার ৫লাখ টাকা আছে তুমি তোমার বাবার কাছ থেকে আরো ৬লাখ টাকা নিয়ে আসলে ১১টাকা দিয়ে চরফ্যাশন পৌর সভায় জমি কিনে আলাদা একটি বাসা করে আমরা বসবাস করবো বলে জানালে। সাথী পিতার কাছ থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে কাবিনতো দুরের কথা উল্টো হুমকী-ধমকী দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সাথী দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ প্রবাসী হিসাবে ডুবাই চাকুরী করে অনেক কষ্ট করে টাকা গুলো উপর্জন করেছেন। শুধু স্ত্রী‘র অধিকারের জন্যে সরল বিশ্বাসে টাকা পয়সা দিয়েছে। সর্বশেষ কোন উপান্ত না পেয়ে গতকাল ৩০ডিসেম্বর চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। যার নং ১১৪২। তিনি স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রশাসনের ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে স্থায়ী সমাধানের দাবী করেছেন। এই ব্যপারে মিজানের বোনজামাই ইলিয়াছের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, পূর্বে তার সাথে সম্পর্ক ছিল। তাদের গ্রামের বাড়ীতে ১মাস বসবাস করেছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ছিল? তার পর তিনি তার সাথে দেখা করে বিস্তারিত জানতে বালে মোবাইল কেটে দেন। এই ব্যপারে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়নি।