বুধবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » অনিয়মের মধ্যদিয়ে ভোলার ৩ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন : পুণঃ নির্বাচন দাবী
অনিয়মের মধ্যদিয়ে ভোলার ৩ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন : পুণঃ নির্বাচন দাবী
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার তিন পৌর নির্বাচনে জাল ভোট, বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছে বিএনপির সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীরা। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত সংখ্যা দেখা গেলেও তার পর থেকে প্রিজাইডিং, প্রশাসনের লোকজন ও কিছু এজেন্ট ছাড়া তেমন কোন ভোটারদের দেখা যায়নি। বেলা বাড়ার পর থেকে কিছু সংখ্যক পুরুষ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দেখা গেলেও নারী ভোটারদের দেখা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাও কমতে থাকে। অনেক ভোট কেন্দ্রের আওয়ামীলীগ সমর্থিত পার্থী ও এজেন্ট ছাড়া বিএনপি প্রার্থী ও এজেন্টদেরকে মারধোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটার আসলেও তাদেরকে ভোট দিতে হয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত এজেন্টের সামনে। অপরদিকে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ভোলা সদর পৌরসভার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান মোমতাজী দুপুর দেড় টায় ভোট বর্জন করেন।
এদিকে ভোলার তিন পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীরা এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে এটিকে প্রহসনের নির্বাচন দাবি করে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পুণঃ নির্বাচন দাবি করেছেন।
সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোলা সদরের বিএনপির প্রার্থী হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন। প্রশাসন এক তরফা নির্বাচন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে দৌলখানে সকাল ১০ টার পর থেকে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ আনোয়ার হোসেন কাকন। অনেক কেন্দ্রে কোন লাইনে ভোটার দেখা যায় নি। নির্বাচন কর্মকর্তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এদিকে দৌলতখানে সংখ্যালঘু পরিবারের এক সদস্য ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার অভিযোগে লাঞ্ছিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থকদের হাতে। অপরদিকে বোরহানউদ্দিনে জাল ভোট দেয়ার অপরাধে এক যুবককে দুই মাসের কারাদ- দিয়েছেন ভ্র্যাম্যমান আদালত।
এছাড়া ভোলা সদর ও দৌলতখানে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ও এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। দুপুর ১টার দিকে ভোট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। দৌলতখান ৯ নং ওয়ার্ডে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল বারেক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আলমগীর হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে ভোলা সদর পৌর ৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।