সোমবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ভোলা দু’ই উপজেলার সীমানা বিরোধের অবসানের লক্ষে সরেজমিনে তদন্ত টীম
ভোলা দু’ই উপজেলার সীমানা বিরোধের অবসানের লক্ষে সরেজমিনে তদন্ত টীম
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: ভোলার দুই উপজেলার সীমানা বিরোধের অবসানের লক্ষে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত টীম সরেজমিন প্রদর্শন করেছেন। সোমবার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের খোদেজাবাগ ও লালমোহন উপজেলার অন্নদা প্রসাদ-ফাতেমাবাদ মৌজার মধ্যেবর্তী সীমান ঘুরে তদন্ত করেছেন। তদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদন দেওয়ার পর সীমানা বিরোধের অবসান ঘটবে বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের গঠিত প্রতিনিএডিসি রেভিনিউ সুজিদ দেবনাথ, লালমোহন ভূমি সার্ভেয়ার আবি আব্দুল্ল্যাহ ও চরফ্যাশনের উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ফোরকানসহ ৩ সদস্য সমন্বিত গঠিত টীম ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এসময় লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া, চরফ্যাশনের আ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম মেলেটারী, আসলামপুর ইউপি‘র চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, নবগঠিত ওমরপুর আ‘লীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, আসলামপুর আ’লীগ সভাপতি নুরে আলম মাস্টারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সমাজসেবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আসলামপুর মৌজার ডিয়ারা ম্যাপ মোতাবেক আসলামপুরকে ভেঙ্গে নবগঠিত ওমরপুর আলাদা ইউনিয়ন বিভাজন করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ ও অন্নদা প্রসাদ মৌজার কিছু অংশ অর্থাৎ ১৮০ পরিবার ও আসলামপুর মৌজার ১২০ পরিবারসহ ২ আদর্শ গ্রামের মোট ৩০০ শত পরিবার নিয়ে সীমানা বিরোধের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অরপদিকে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন লর্ডহাডিঞ্জ এলাকার অধিকাংশপরিবার আসলামপুর ইউনিয়নের খোদেজাবাগ মৌজার ভোটার এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে ইউপির দাবী করে বলেন, সরকারের নির্মিত আদর্শ গ্রামে গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এলজিএসপি‘র বরাদ্দ থেকে সেপটি টেংকিসহ একটি টয়লেট নির্মাণ ও সরকারের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা আসলামপুর ইউপি‘র থেকে দেওয়া হয়।
ওই এলাকার দু‘জন মহিলা ভোটার ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর স্থায়ী সমাধানের জন্যে আবেদন করলে জেলা প্রশাসক বিষয়টি ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্তের দায়িত্ব তাদের উপর ভার দিলে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে যান।
এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, চরফ্যাশন-লামমোহান উপজেলার দু’ইউনিয়ন সীমানা বিরোধ নিয়ে আমরা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। তদন্ত রিপোর্টে যা আসে তা নিয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এ দুই উপজেলার সীমানা বিরোধ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে একধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত্য শতাধিক নারী পুরুষ আহত হয়েছেন।