মঙ্গলবার ● ৩ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » মেঘনায় কীটনাশক দিয়ে চিংড়ি শিকার
মেঘনায় কীটনাশক দিয়ে চিংড়ি শিকার
আদিল হোসেন তপু: ভোলার মেঘনা নদীতে অবৈভাবে কীটনাশক (বিষ) দিয়ে চিংড়িমাছ শিকার করছে কয়েকটি অসাধু চক্র। এতে মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তারসহ মাছের বিচরণ ক্ষেত্র চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
দীর্ঘদিন থেকে চক্রটি অবৈধভাবে লাখ লাখ চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট পোনা শিকারের কারনে মারা যাচ্ছে অন্য প্রজাতির মাছও। এতে জলসীমায় মাছের অকাল দেখা দেয়ার পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার হুমকির মুখে পড়বে বলে ধারাণা করছেন সচেনমহল ।
জানা গেছে, দ্বীপ জেলার চারদিকে নদী বেষ্টিত হওয়ার ফলে মাছের জন্য বিখ্যাত এই জেলা। প্রতি বছর ভোলা থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ জেলার বাইরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অবৈভাবে জাটকা নিধন, বাগদা রেণু ও চিংড়ি শিকারের কারণে মাছের উৎপাদন কমে আসছে।
অভিযোগ উঠেছে, বেশ কিছুদিন ধরে আবদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে কিটনাশন ও বিষ প্রয়োগ করে চিংডি শিকার করছে। এসব পয়েন্টের মধ্যে মাঝের চর, পাঙ্গাশিয়া, শামপুরা ও ক্লোজার উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি এই চক্রের আব্দুর রহমানকে বিষ দেয়া মাছ সহকারে বাপ্তা উকিল বাড়ী মোড় এলাকা থেকে আটক করে এলাকাবাসী তাকে মারধর করলে তার স্ত্রী এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ধরণের কাজ আর করবেনা বলে জানান। স্থানীয় জনগণ মাছ শিকারের ফলে চিংড়ি সংরক্ষণ হলেও কীটনাশকের প্রভাবে অন্য প্রজাতির মাছ ধ্বস হয়ে যাচ্ছে। পাশপাশি এই মাছ মানবদেহর জন্য ক্ষতিকর বলে জানান মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
এলাকাবসী জায়, অসাধু চক্রটি ওই সব মাছ আবার বিভিন্ন ঘাটে ও হাট বাজারে বিক্রি করে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। অন্যদিকে ওই সব মাছ ভোক্তারা কিনেও মারত্মক ভাবে প্রতারিত হচ্ছে। বিষ দিয়ে শিকার করা ওই মাছ জন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকারক।
অন্যদিকে কীটনাশক প্রয়োগে দেদারছে চিংড়ি মাছ শিকারের ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে।
মৎস্য রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোস্টগার্ড, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও সংঘবদ্ধ শিকারি চক্রটি বরাবরই থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে দিন দিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লে. সাজ্জাদুর রহমান জানান, কীটনাশক দিয়ে কেউ যাতে চিংড়ি শিকার করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ডের টিম মাঝে মধ্যেই নদীতে অভিযানে চালাচ্ছে।